স্বরূপকাঠি পৌরসভার মধ্যে ফাস্ট ফুডের দোকান রাজনৈতিক প্রভাব প্রতিপত্তি খাটিয়ে ছাত্র দলের নেতাকে অমানবিক কায়দায় মারধরের অভিযোগ উঠছে। স্বরূপকাঠি পৌরসভার মধ্যে আলহাজ্ব মোঃ মোস্তফা মিয়ার দুই ছেলে মোঃ তাওহীদ ও লিমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে। অথচ বর্তমান সময়ে নুতন প্রজন্মের উদীয়মান তরুণরা বিভিন্ন ব্যবসার দিকে ঝুকছে। যদিও কিছু কিছু তরুণরা রাজনৈতিক প্রভাব প্রতিপত্তি খাটিয়ে ব্যাবসা করার মিশনে রয়েছে। অথচ এতকিছুর পরও স্বরূপকাঠি উপজেলার প্রাণকেন্দ্র স্বরূপকাঠি ফেরী ঘাট সড়কে নিত্য নতুন প্রতিষ্ঠান ব্যাবসা শুরু করেন। আর সেই ফেরীঘাটকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে চমৎকার চমৎকার ফাস্ট ফুডের দোকান। স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে নুতন প্রজন্মের প্রথম চয়েস হল ফাস্ট ফুডের খাবার। স্বরূপকাঠি প্রেসক্লাবে পাশে মুক্তিযোদ্বা ভবনের তিন তলায় রয়েছে প্রথম ফাস্ট ফুডের প্রথম দোকান। এরপর গড়ে উঠেছে ফেরীঘাটে কাছে উপজেলা মডেল মসজিদ রোডের প্রধান সড়কে পাশাপাশি দুটো ফাস্টফুডের দোকান গড়ে উঠেছে। উঠতি বয়সের চার তরুণ ছাত্র লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। এচারজন মালিক যুবলীগের নেতা মাসরুর আলম রাজিবের অনুসারী। ছাত্র লীগের চার তরুণ মোঃ লিমো,মোঃ রাকিব, মোঃ রবিউল ও জয় শুরু করেন রাজনৈতিক প্রভাব প্রতিপত্তি খাটিয়ে স্পাইস চিকেনের ব্যাবসা। এদিকে পাশাপাশি আরও একটি ফাস্ট ফুডের দোকান শুভ উদ্ভোদন হয় গোল্ডেন ইটারী ফাস্ট ফুডের দোকান। মাত্র একদিন আগে শুভ উদ্ভোদন হয় উপজেলা মডেল মসজিদ রোডের প্রধান সড়কে। স্থানীয় সূত্র জানান পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান হওয়ার কারনে কিছুটা রাগ-ক্ষোভ সৃষ্টি হয় চার মালিকানার প্রতিষ্ঠানে। আর সেই কারনে গতকাল রবিবার সন্ধ্যার পর পরই রাগ ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে সাবেক মেম্বার মেঃ মনিরের আগমন উপলক্ষে। ক্ষুদ্র ঘটনা নিয়ে মারামারির পর্যায়ে পৌঁছেছে সর্বশেষ। অথচ প্রতিদিনের মতো শুরু হয় ক্রেতাদের আসা যাওয়ার পালা। পড়ন্ত বিকেল থেকে শুরু হয় কাস্টমারের আসা যাওয়ার পালা। যদিও দিনের বেলায় কাস্টমার প্রবেশ করেন। অবশ্য বিকেল থেকে রাতেই বেশী কাস্টমার প্রবেশ করেন।জন্ম দিন সহ কপোত-কপোতী ও বহু দম্পত্তিরা আসেন চমৎকার পরিবেশ উপভোগ করতে। এদিকে গত রবিবার সাবেক জনপ্রতিনিধি ৩নং স্বরূপকাঠি ইউনিয়নের আউরিয়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মনির মেম্বার রাত আনুমানিক সন্ধ্যা সাতটার দিকে ফাস্টফুডের কাছে আসেন মোটরসাইকেল নিয়ে। গাড়ীটি দুই দোকানের মাঝামাঝি থামে। সেই সময়ে গোল্ডেন ইটারীর স্টাফ ডাক দেয়।কুশল বিনিময় করেন একই গ্রামের বাসিন্দা হিসেবে। এরপর মুনির মেম্বার নিজ গ্রামের ছেলের কথায় মুগ্ধ হয়ে গোল্ডেন ইটারী ফাস্ট ফুডের দোকানে প্রবেশ করেন সঙ্গীদের নিয়ে। আর সেই কারনে পাশাপাশি দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চাপা ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। প্রাথমিক ভাবে উত্তেজনা বৃদ্ধির পরিবেশ তৈরী হয়।কিন্তু আসল ঘটনা জানার পর পরই উভয় মালিক পক্ষ শান্ত হয়। তবে স্পাই চিকেনের একজন কাস্টমারের সাথে কথা কাটাকাটি হয়ে গোল্ডেন ইটারীর স্টাফ ছাত্র দলের নেতা মোঃ রিয়াদুল ইসলামের সাথে। আর সেই কারনেও পরবর্তী সময়ে রাত আনুমানিক আটটার দিকে হঠাৎ রিয়াদুল ইসলামকে দোকান থেকে ডেকে নিয়ে যায় তাওহীদ ও লিমন।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন গোল্ডেন ইটারীর মালিক মোঃ রিয়াজ মাহমুদ। তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, স্পাই চিকেনের কাস্টমারের সাথে আমাদের স্টাফ মোঃ রিয়াদুল ইসলামের সাথে তর্ক বির্তক হয়। সেই সূত্র ধরেই আমাদের স্টাফ মোঃ রিয়াদুল ইসলামকে ডেকে নিয়ে অমানবিক কায়দায় মারধর করেন। ঘটনার মূল কারণ হিসেবে বলেন, স্পাই চিকেনের কাস্টমার সম্ভবত বড় ভাই মোঃ মিরাজ সেই সময়ে খাবার খাচ্ছিল। তার সাথেই আমাদের স্টাফ মোঃ রিয়াদুল ইসলামের সাথে তর্ক বির্তক হয়।পরবর্তীতে মিরাজের দুই ভাই এসে আমাদের স্টাফ মোঃ রিয়াদুল ইসলামের ডেকে নিয়ে যায় তাওহীদ ও লিমন। কোন কিছু আচ করার আগেই এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন ছাত্র দলের নেতা গোল্ডেন ইটারীর স্টাফ মোঃ রিয়াদুল ইসলামকে। মুহুর্তের মধ্যে রিয়াদুল ইসলামের অবস্থা খারাপের দিকে যায়।তবে রিয়াদুল ইসলামের চিৎকার শুনে ছুটে যায় স্পাই চিকেনের মালিক পক্ষের লোকজন। স্থানীয় সূত্র জানান স্পাইস চিকেন ফাস্ট ফুডের মালিকের সাথে কাস্টমার প্রবেশ করার ঘটনা নিয়ে মারামারির সূত্রপাত। এব্যাপারে হাসপাতালে বেড়ে শুয়ে থাকা সদর স্বরূপকাঠি ইউনিয়ন ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রিয়াদুল ইসলামের সাথে কথা হয় গণমাধ্যম কর্মীদের। রিয়াদুল বলেন তৌফিক ও লিমন ছাত্র লীগের কর্মী। তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মারামারির পর্যায়ে নয়। অথচ বিগত বছরগুলোতে আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে যুবলীগ নেতা মোঃ রাজিবের অনুসারী ছিল। আর সেই কারনে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে আমাকে ডেকে নিয়ে অমানবিক কায়দায় মারধর করার দুঃসাহস দেখায়। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী স্থানীয় পর্যায়ে আপোষ মীমাংসার কথাবার্তা চলছে। তবে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে কথা হয় গণমাধ্যম কর্মীদের। এখনো কোন ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়নি।