সীতাকুন্ড সাব-রেজিস্ট্রার রায়হান হাবিবকে অপসারণে দুই দিনের সময় বেধে দিয়েছে উপজেলায় কর্মরত দলিল লেখকগণ। অন্যথায় তারা অনির্দিষ্টকালের কলমবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দেন। সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ১২ টায় সীতাকুন্ড সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের সামনে বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতি সীতাকুন্ডের উদ্যোগে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়। এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত দলিল লেখকগণ তাদের বক্তব্যে সাব-রেজিস্ট্রার রায়হান হাবিবের সীমাহীন ঘুষ-দুর্নীতি ও অশালীন আচরণের চিত্র তুলে ধরেন। তারা বলেন, প্রত্যেকটি দলিলে নির্দিষ্ট পরিমাণ ঘুষ দেয়ার পরও নানান ছুতোয় ১০ থেকে পঞ্চাশ হাজার বা ততোর্ধ টাকা অতিরিক্ত দাবি করেন সাব-রেজিস্ট্রার। তার অনৈতিক এ দাবি পূরণে অপারগতা দেখালে দলিল লেখকগণকে হেনেস্থা করা হয়। সম্প্রতি দলিল লেখক হারুন অর রশিদের কাছ থেকে কাঙ্খিত ঘুষ না পেয়ে তাকে নাজেহাল করা হয়। এমনকি তার লাইসেন্স বাতিলের হুমকি দেন সাব-রেজিস্ট্রার। দলিল লেখক সমিতি সীতাকুন্ডের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল কামাল বলেন, রায়হান হাবিবের সীমাহীন ঘুষের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ সেবাগ্রহীতারা। ঘুষের যাঁতাকলে পড়ে ইতিমধ্যে সীতাকুন্ডে দলিল সম্পাদনের হার ৫০ ভাগ কমে গিয়েছে। সভাপতি ও প্রবীণ দলিল লেখক রফিক উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, গত পঞ্চাশ বছরের ইতিহাসে সীতাকুন্ডে এমন ঘুষখোর সাব-রেজিস্ট্রার দেখিনি। ঘুষ ছাড়া একটি দলিলও সম্পাদন করেন না তিনি। এরপর আবার দলিল লেখকগণকে হেনস্থা। আমরা আগামী ২৩ অক্টোবর বুধবারের মধ্যে সাব-রেজিস্ট্রার রায়হান হাবিবের অপসারণ চাই। অন্যথায় সীতাকু-ের সকল দলিল লেখকগণ অনির্দিষ্টকালের কলমবিরতি পালন করবে। মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন, সীতাকুন্ড দলিল লেখক সমিতির উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা আবুল মুনছুর, সহ-সভাপতি মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, মোঃ বেলাল হোসেন, মোঃ জাকির হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ তৌহিদ মুরাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহম্মদ, অর্থ সম্পাদক মোঃ সাখাওয়াত হোসেন সাহেদ, দপ্তর সম্পাদক জাহেদ হোসেন, সদস্য প্রবীণ দলিল লেখক ফনি ভূষণ চৌধুরী, মোঃ সুজন, দেলোয়ার ইসলাম, মাসুদ পারভেজ চৌধুরী, বিপুল কুমার সুর্ম, নাজমুল হাসান হেলাল প্রমুখ।