শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫২ অপরাহ্ন

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের বৈঠক

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৪

গতকাল ২৪ অক্টোবর ২০২৪ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ঢাকার মগবাজারস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ-এর এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি ও সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। সভাপতির বক্তব্যে আমীর জামায়াত দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, সাড়ে ১৫ বছর স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ তীব্র গণআন্দোলনের মাধ্যমে হাজারো প্রাণের বিনিময়ে দেশ স্বৈরশাসনের কবল থেকে মুক্তি লাভ করেছে। হাজার হাজার লোক আহত ও পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। এখনও অনেকে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসা চলা অবস্থায় অনেকের মৃত্যু হচ্ছে। যারা জীবন দিয়েছেন আল্লাহ তাদের শাহাদাত কবুল করুন। আমি নিহত ও আহতদের পরিবার এবং আত্মীয়-স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতদের চিকিৎসার লক্ষ্যে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, দেশে আইনের শাসন, ন্যায় বিচার, মানবাধিকার ও জনগণের ন্যায্য ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। দেশের চলমান পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দল, সামাজিক প্রতিষ্ঠান, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদসহ সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের চেতনা অন্তরে ধারণ করে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। এ সময় নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ও ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান ২০২৫-২০২৬ কার্যকালের জন্য নির্বাচিত জেলা ও মহানগরী আমীরগণের নাম ঘোষণা করেন।

জেলা-মহানগরে জামায়াতের আমীর হলেন যারা: ‘২০২৫-২০২৬’- কার্যকালের জন্য জেলা ও মহানগর আমীরের নাম ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বৃহস্পতিবার রাজধানীর মগবাজারস্থ দলের কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের বৈঠকে নাম ঘোষণা করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।

জেলা ও মহানগরের আমীর যারা হলেন, তারা হলেন- পঞ্চগড়ে অধ্যাপক মো. ইকবাল হোসাইন, ঠাকুরগাঁওয়ে অধ্যাপক বেলাল উদ্দিন প্রধান, দিনাজপুর জেলা অধ্যক্ষ আনিছুর রহমান, নীলফামারীতে আব্দুস সাত্তার, লালমনিরহাটে এ্যাডভোকেট আবু তাহের, রংপুর মহানগর মাওলানা এ টি এম আযম খান, রংপুর জেলায় অধ্যাপক মো. গোলাম রব্বানী, কুড়িগ্রামে অধ্যাপক মাওলানা মো. আবদুল মতিন ফারুকী, গাইবান্ধায় মো. আব্দুল করিম সরকার, জয়পুরহাটে ডা. ফজলুর রহমান সাইদ, বগুড়া শহরে মাওলানা আবিদুর রহমান সোহেল, বগুড়া জেলায় মাওলানা আবদুল হক সরকার, সিরাজগঞ্জে মাওলানা মো. শাহিনুর আলম, পাবনায় অধ্যাপক মো. আবু তালেব মন্ডল, চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাওলানা মো. আবুজর গিফারী, নওগাঁ জেলায় মো. আব্দুর রাকিব, রাজশাহী মহানগরে ড. মো. কেরামত আলী, রাজশাহী জেলায় অধ্যাপক আবদুল খালেক, নাটোরে অধ্যাপক ড. মীর নুরুল ইসলাম, মেহেরপুরে মো. তাজউদ্দীন খান, কুষ্টিয়ায় মো. আবুল হাশেম, চুয়াডাঙ্গায় এডভোকেট মো. রুহুল আমিন, ঝিনাইদহে আলী আজম মো. আবু বকর, যশোর জেলায় অধ্যাপক মো. গোলাম রছুল, মাগুরায় অধ্যাপক এম. বি. বাকের, নড়াইলে মো. আতাউর রহমান বাচ্চু, বাগেরহাটে মাওলানা রেজাউল করিম, খুলনা মহানগরে মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, খুলনা জেলায় মাওলঅনা মুহা. এমরান হুসাইন, সাতক্ষীরায় অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম, বরগুনায় মাওলানা মো. মহিববুল্লাহ, পটুয়াখালী এ্যাডভোকেট নাজমুল আহসান, ভোলায় মুহা. জাকির হোসেন, বরিশাল মহানগরে জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর, বরিশাল জেলায় অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার, ঝালকাঠিতে এডভোকেট হাফিজুর রহমান, পিরোজপুরে অধ্যক্ষ তাফাজ্জল হোসাইন ফরিদ, জামালপুরে মাওলানা আব্দুস সাত্তার, শেরপুরে মাওলানা হাফিজুর রহমান, ময়মনসিংহ মহানগরে মাওলানা কামরুল আহসান ইমরুল।

এছাড়া ময়মনসিংহ জেলায় আবদুল করিম, নেত্রকোনায় ছাদেক আহমাদ হারিছ, কিশোরগঞ্জে অধ্যাপক মো. রমজান আলী, ঢাকা মহানগর উত্তরে মোহাম্মদ সেলিম উদ্দীন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণে নূরুল ইসলাম বুলবুল, টাঙ্গাইলে আহসান হাবিব মাসুদ, মানিকগঞ্জে হাফেজ মাওলানা মো. কামরুল ইসলাম, ঢাকা জেলায় মাওলানা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন, গাজীপুর মহানগরে অধ্যাপক মুহা. জামাল উদদীন, গাজীপুর জেলায় ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, মুন্সীগঞ্জে মাওলানা আ. জ. ম. রুহুল কুদ্দুস, নারায়ণগঞ্জ মহানগরে মুহাম্মদ আবদুল জব্বার, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মো. মমিনুল হক সরকার, নরসিংদীতে মাওলানা মো. মোছলেহুদ্দিন, রাজবাড়ীতে এডভোকেট মো. নূরুল ইসলাম, ফরিদপুরে মাওলানা মুহাম্মদ বদরুদ্দীন, গোপালগঞ্জে অধ্যাপক রেজাউল করিম, মাদারীপুের মাওলানা মোখলিসুর রহমান, শরীয়তপুরে মাওলানা আবদুর রব হাশেমী, সুনামগঞ্জে মাওলানা তোফায়েল আহমদ খাঁন, সিলেট মহানগরে মো. ফখরুল ইসলাম, সিলেট জেলায় মাওলানা হাবীবুর রহমান, মৌলভীবাজারে মো. শাহেদ আলী, হবিগঞ্জে মাওলানা মোখলিসুর রহমান, কুমিল্লা মহানগরে কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, কুমিল্লা উত্তরে অধ্যাপক মো. আবদুল মতিন, কুমিল্লা দক্ষিণে এডভোকেট মো. শাহজাহান, চাঁদপুরে মাওলানা বিলাল হোসেন মিয়াজী, ফেনীতে মুফতি আবদুল হান্নান, নোয়াখালীতে মো. ইছহাক খন্দকার, লক্ষীপুরে মাস্টার রুহুল আমিন ভূঁইয়া, চট্টগ্রাম মহানগরে আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তরে আলাউদ্দিন শিকদার, চট্টগ্রাম দক্ষিণে আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, কক্সবাজিোর অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী, খাগড়াছড়িতে সৈয়দ মো. আব্দুল মোমেন, রাঙ্গামাটিতে অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল আলীম এবং বান্দরবানে এস. এম. আবদুছ ছালাম আজাদ।

বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে জামায়াতের আমীর বলেন, সাড়ে ১৫ বছর স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ তীব্র গণআন্দোলনের মাধ্যমে হাজারো প্রাণের বিনিময়ে দেশ স্বৈরশাসনের কবল থেকে মুক্তি লাভ করেছে। হাজার হাজার লোক আহত ও পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। এখনও অনেকে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসা চলা অবস্থায় অনেকের মৃত্যু হচ্ছে। যারা জীবন দিয়েছেন আল্লাহ তাদের শাহাদাত কবুল করুন। আমি নিহত ও আহতদের পরিবার এবং আত্মীয়-স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতদের চিকিৎসার লক্ষ্যে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
শফিকুর রহমান বলেন, দেশে আইনের শাসন, ন্যায় বিচার, মানবাধিকার ও জনগণের ন্যায্য ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। দেশের চলমান পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দল, সামাজিক প্রতিষ্ঠান, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদসহ সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের চেতনা অন্তরে ধারণ করে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

জামায়াতের আমীরের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্যরা।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com