হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশ এর সিরাজগঞ্জ জেলা ইউনিটের প্রেসিডেন্ট এ্যাডঃ শহীদুল ইসলাম ও এ্যাডঃ মিঠুন গত ২৯ অক্টোবর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এই স্বারকলিপি প্রদান করেন, স্বারকলিপিতে তিনি উল্লেখ করেন, “হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশ” (HRPB) সিরাজগঞ্জ ইউনিট আইনের শাসন, মানবাধিকার, পরিবেশ রক্ষা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বাস্তব প্রয়োজনের ভিত্তিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশনার আলোকে দীর্ঘদিন যাবৎ কা করে আসছে। সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলায় ওয়াপদা খাল ভরাট, অবৈধ স্থাপনা স্থাপন করে বেদখল সহ পরিবেশ আইন লংঘনের বিষয়টি বহুল প্রচারিত জাতীয় “দৈনিক প্রথম আলো” পত্রিকা সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়। উক্ত “দৈনিক প্রথম আলো” পত্রিকার কাটিং সংযুক্ত করে আমাদের সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে মহামান্য হাই কোর্টের রীট পিটিশন নম্বর ২৯৭৩/১৬ দায়ের করা হয়। ১৪/০৩/২০১৬ তারিখে প্রাথমিক শুনানী শেষে মহামান্য হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ রুল সহ অবৈধ স্থাপনার বিষয়ে সার্ভে করে তালিকা আকারে এফিডেভিট সহ পরবর্তী তারিখে মহামান্য হাইকোর্টে দাখিলের জন্য ৫/৮ এবং ৯ নম্বর রেপন্ডেন্ট কে নির্দেশনা প্রদান করেন। মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক ৫নং রেসপন্ডেন্ট ডেপুটি কমিশনার সিরাজগঞ্জ ৮ নম্বর রেসপন্ডেন্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলকুচি, (সিরাজগঞ্জ) এবং ৯ নম্বর রেসপন্ডেন্ট সহকারী কমিশনার (ভূমি) বেলকুচি, সিরাজগঞ্জ এর পক্ষ থেকে সার্ভে করে মহামান্য হাইকোর্টে এফিডেভিট সহ অবৈধ স্থাপনার তালিকা দাখিল করা হয়। পরবর্তীতে ২৫/০৭/২০১৬ তারিখে মহামান্য হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে উভয়পক্ষের শুনানী অন্তে মহামান্য হাইকোর্ট ৫ নম্বর রেসপন্ডেন্ট ডেপুটি কমিশনার, সিরাজগঞ্জ, ৬ নম্বর রেসপন্ডেন্ট পুলিশ সাপার, সিরাজগঞ্জ, ৮ নম্বর রেসপন্ডেন্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বেলকুচি, সিরাজগঞ্জ, ৯ নম্বর রেসপন্ডেন্ট সহকারী কমিশনার (ভূমি) বেলকুচি এবং ১০ নম্বর রেসপন্ডেন্ট অফিসার ইনচার্জ, বেলকুচি থানা, (সিরাজগঞ্জ) কে বেলকুচি পৌর এলাকার ওয়াপদা খাল ভরাট বন্ধ করা, ওয়াপদা খালের ভিতরে সহ উভয় পারের সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ৬০ দিনের মধ্যে তা মহামান্য হাইকোর্টে এফিডেভিট সহ দাখিল করতে নির্দেশ প্রদান করেন। উল্লেখিত নির্দেশ প্রাপ্ত রেসপন্ডেন্টগন মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা প্রাপ্ত হয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পাথমিক পদেক্ষেপ গ্রহন করেন এবং এফিডেভিট সহ তা মহামান্য হাইকোর্টে দাখিল করেন। পরবর্তীতে উপস্থাপিত আইনের আলোকে এবং মহামান্য উচ্চ আদালতের রীট মোকদ্দমা ২৯৭৩/২০১৬ এর নির্দেশনা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বেলকুচি পৌরসভা এলাকায় ওয়াপদা খালের ভিতরে এবং উভয় পারে প্রভাবশালীরা বেআইনী ভাবে বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলেছে। ওয়াপদা খাল পরিনত হয়েছে বর্জ্যরে ভাগাড়ে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য মহামান্য উচ্চ আদালতের নির্দেশ প্রাপ্ত কর্মকর্তগনের চোখের সামনে গড়ে উছেছে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা। এতে করে প্রতিনিয়তঃ- লংঘিত হচ্ছে মহামান্য উচ্চ আদালতের নির্দেশনা। মারাত্মক বিপর্যয় হচ্ছে পরিবেশের। বেলকুচি পৌর এলাকার ওয়াপদা খালের রক্ষনা বেক্ষনের ক্ষেত্রে এবং উপস্থাপিত আইনটি অনুসরনে ও মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও উদাসীনতা বিষয়টি আমাদেরকে ব্যথিত করছে। উপরোক্ত অবস্থাধীনে মহামান্য হাইকোর্টের রীট মোকদ্দমা ২৯৭৩/২০১৬ এর ২৫/০৭/২০১৬ তারিখে নির্দেশনা যথাযথ ভাবে বাস্তবায়নের জন্য আপনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষন করছি। বেলকুচি ওয়াপদা খাল রক্ষায় উচ্চ আদালতের ঐতিহাসিক নির্দেশনা বাস্তবায়ন সহ বেলকুচি এলকায় ওয়াপদা খাল, প্রাকৃতিক জলাধার সকল পুকুর, খাল, বিল, নদী সহ জলাশয় সংরক্ষনের জন্য অবিলম্বে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য আপনার বরাবরে সবিনয়ে আবেদন করছি।