সুনামগঞ্জে ৫ দিনব্যাপী বিস্তারিত কর্মসুচির মধ্যে দিয়ে গুণিজনদের প্রতিকৃতি প্রদর্শনী ২০২৪ইং শুরু হয়েছে। শনিবার (২ নভেম্বর) রাতে জেলা শিল্পকলা একাডেমির আর্ট গ্যালারি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেছেন জেলা প্রশাসক ড.মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পাল,জেলা কালচারাল অফিসার আহমেদ মঞ্জুরুল হক চৌধুরী পাভেল, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আতম মিছবাহ, দৈনিক সুনামকন্ঠ সম্পাদক বিজন সেন রায়, সুনামগঞ্জ সরকারী কলেজের প্রভাষক জাকির হোসেন, লেখক সুখেন্দু সেন রায়, জেলা শিল্পকলা একাডেমির যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট দেবদাস চৌধুরী রঞ্জন, কবি কুমার সৌরভ, বাউল কামাল পাশা সংস্কৃতি সংসদ এর প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক সাংবাদিক বাউল আল হেলাল, প্রবীণ বাউল শিল্পী আব্দুল রব আব্দুল্লাহ, গবেষক সুবাস উদ্দিন, নাট্যকার গৌতম কর তপন,শিল্পী সোহেল আহমদ ও সদর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার চন্দ মন্তোষসহ বিভিন্ন সংস্কৃতানুরাগী ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি ড.মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া বলেন,গুণিজনদের কদর করার সংস্কৃতি সবার মাঝে স্বমহিমায় উপস্থাপন করতে হবে। গুণিজনদের আলোয় আলোকিত করতে হবে সারা দেশকে। গ্যালারিতে জেলার ৫ প্রধান লোককবির মধ্যমণি ভাটি অঞ্চলে পালাগানের প্রবক্তা বাউল কামাল পাশা থেকে পাগল হাসান পর্যন্ত ২৬ জন সংস্কৃতিসেবীর প্রতিকৃতি সাঁটানো হয়। প্রতিকৃতিগুলো অঙ্কন করেন দেবাশীষ রায় শুভ। প্রচ্ছদ ও প্রদর্শনী গ্যালারী সৃজনে ছিলেন শুভ এষ। গুণিজনদের মধ্যে সবার অগ্রজ বাউল কামাল পাশা (কামাল উদ্দিন) সম্পর্কে সাংবাদিক আল হেলাল বলেন,জেলার ৫ প্রধান লোককবির মধ্যমণি এই প্রয়াত লোককবিকে ইতিপূর্বে সুনামগঞ্জ জেলার ৫ জন জেলা প্রশাসক মরণোত্তর একুশে পদক প্রদানের জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে প্রস্তাব প্রেরণ করেছেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে আজও এ শিল্পীর ভাগ্যে জুটেনি মরণোত্তর স্বীকৃতি। ফলে বাউল কামাল পাশার গান অন্যেরা চুরি করে ভনিতা পরিবর্তন করে নিজেদের নামে জাহির করে যাচ্ছে। বাউল কামাল পাশার গান প্রচার ও প্রসারে জেলা প্রশাসক সার্বিক সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন আল হেলালকে। এছাড়াও মহকুমা শিল্পকলা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ভাষা সৈনিক মুহাম্মদ আবদুল হাই ও নাট্যকার দেওয়ান মহসিন রাজা চৌধুরীসহ গ্যালারীর সকল গুণিজনদের সম্পর্কে এক এক করে সবার পরিচিতি তুলে ধরেন জেলা কালচারাল অফিসার আহমেদ মঞ্জুরুল হক চৌধুরী পাভেল।