পটুয়াখালীর গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে যাওয়া জেলেরা এখনো ফিরেনি ঘাটে। তাই এখন জেলে শূন্য মৎস্য বন্দর আলীপুর ও মহিপুর। তবে স্থানীয় জেলার বিভিন্ন নদী ও কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে যাওয়া জেলেরা ফিরেছেন তীরে। এদের মধ্যে বেশির ভাগ জেলেই ফিরেছে কাংখিত ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিয়ে। এতে হাসি ফুটেছে জেলে সহ মৎস্য সংশ্লিষ্টদের মুখে। এভাবে জেলেদের জালে মাছ ধরা পড়লে পিছনের ধারদেনা কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে জানিয়েছেন জেলেরা। তবে গভীর সাগরে অবস্থানরত জেলেরা আগামী দুই তিন দিনের মধ্যে তীরে ফিরতে পারেন বলে জানিয়েছে মৎস্য ব্যবসায়ীরা। জেলে রহমত আলী বলেন, বঙ্গোপসাগরে কিনারে ও বিভিন্ন নদনদীতে জাল ফেল্লেই বড় ইলিশ ও হরেক রকমের মাছ পড়ছে জালে। আমর নৌকা টলারে এক খেওয়ে ৪৭ হাজার টাকা বিক্রি করেছি। এটা আসলে নিষেধাজ্ঞার ফসল। মহিপুর মৎস আড়ৎ মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ দিদার উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম বলেন, আড়দে ডেলি ফিসিং’র কিছু জেলেরা আসছে ইলিসসহ বড় বড় ইলিশ ও বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিয়ে। গভীর সমুদ্রেও মনেহয় আমাদের চাহিদা অনুযায়ী মাছ পাওয়া যাবে। কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপুসাহা বলেন, ইলিশের বাঁধাহীন প্রজননের জন্য ১৩ অক্টোবর থেকে ০৩ নভেম্বর পর্যন্ত নদী ও সাগরে মাছ শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞার কারনে কিনারেই বড় ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে, গভীর সমুদ্রেও এবছর ভাল ইলিশ পাওয়া যাবে বলে আশা করেন।