ফরিদপুরের নগরকান্দায় সরকারি জায়গায় থাকা এক বিধবার বাড়ি গিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম -মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সোমবার সকাল ১১টার দিকে নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের রসুলপুর বাজার এলাকায় আসমা বেগম নামক ওই নারীর বাড়িতে যান রুহুল কবির রিজভী। এ সময় তিনি আসমার খোঁজখবর নেন। পাশাপাশি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আসমা বেগমের হাতে আর্থিক সহায়তার চেকও তুলে দেন রুহুল কবির রিজভী। এর আগে প্রচার মাধ্যমে আসমা বেগমের বাড়িতে হামলার খবর প্রকাশিত হয়। চেক প্রদানের পর রুহুল কবির রিজভী বলেন, যারা সমাজে অপরাধ করবে, তারা যে দলেরই হোক তাদের উপযুক্ত বিচার করা হবে। ভবিষ্যত রাষ্ট্র নায়ক তারেক রহমান আমাদের সেই নির্দেশনা দিয়েছেন। আসমার বাড়ী দখলের সংবাদ রবিবার রাতে পেয়েই তারেক রহমান আমাদের এখানে আসার নির্দেশনা দিয়েছেন। আসমার বাড়ি দখলের চেষ্টাকারী যদি বিএনপির কেউ হয়, তাহলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। আসমার বাড়ি পরিদর্শনের সময় রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদারেস আলী ইছা ও সদস্যসচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপনসহ অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, ২৫ বছর আগে মুন্সীগঞ্জ থেকে নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের রসুলপুর বাজার এলাকায় এসে প্রথমে স্থানীয় প্রভাবশালী কথিত বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কবিরের চাচাতো ভাইকে বিয়ে করেন আসমা। পরে আসমার সেই স্বামী মারা গেলে স্থানীয় মফিজ মিয়া নামের আরেক ব্যক্তিকে বিয়ে করে আসমা। রসুলপুর বাজার এলাকায় কুমার নদের পাড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জায়গার ওপর দোচালা একটি টিনের ঘর তুলে বসবাস শুরু করেন। স্বামী মফিজ অন্যের জমিতে কাজ করে সংসার চালাতেন। কিন্তু ৬ বছর আগে আসমার স্বামী মফিজও মারা যান। এর পর থেকে বিধবা আসমা অসহায় অবস্থায় ওই বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। আসমা বলেন, আমি দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে এই জায়গায় ঘর তুলে বসবাস করে আসছি। এই ঘরটা ছাড়া আমার কোনো জায়গা-জমি নেই। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর স্থানীয় প্রভাবশালী সালাহউদ্দিন কবির জাল স্ট্যাম্প দেখিয়ে আমাকে জায়গা খালি করে দিতে বলেন। এতে আমি রাজি না হওয়ায় সালাহউদ্দিন ও তার লোকজন সম্প্রতি আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।