বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৯ অপরাহ্ন

দাম্পত্য জীবনে ‘পিলো টক’ কতটা জরুরি?

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৪

দাম্পত্য সম্পর্কে ভালো রাখতে দু’জনের বোঝাপোড়া জরুরি। তবে কর্মব্যস্ত জীবনে যদি একজন আর্কেজনের সঙ্গে কথা বলারই সুযোগ না পান তাহলে কীভাবে দাম্পত্যে বোঝাপোড়া ভালো হবে? এক্ষেত্রে পিলো টক খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পিলো টক বা বালিশ কথোপকথন, বেডরুমে প্রত্যেক দম্পতির মধ্যেই ঘটে। পাশাপাশি বালিশে শুয়ে কথোপকথনকে বলা হয় পিলো টক। এই কথোপকথনের অভ্যাস দাম্পত্য সম্পর্ক আরও মজবুত করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পিলো টকের মাধ্যমে দম্পতিরা তাদের অনুভূতিগুলোকে আরও খোলামেলাভাবে প্রকাশ করতে পারে। যা দু’জনের সম্পর্ক আরও ভালো করে।
পিলো টকের যত উপকারিতা
ঘনিষ্ঠতা বাড়ায়: এই অনুশীলনের মাধ্যমে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতাও বাড়ে। এ সময় দাম্পতিদের মধ্যে অন্তরঙ্গতা বাড়ে দ্বিগুণ। পিলো টকিংয়ের সময় ‘লাভ হরমোন’এর উৎপাদন বাড়ায় অক্সিটোসিন বেড়ে যায়। যা দম্পতিদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে সাহায্য করে।
মানসিক অস্থিরতা কাটায়: পিলো টকিংয়ের অভ্যাস দু’জনের মানসিক অস্থিরতা কাটাতে সাহায্য করে। কর্মব্যস্ত জীবনে সবাই মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন। এক্ষেত্রে সঙ্গী সঙ্গে পাশাপাশি শুয়ে মনের কথা বলার মাধ্যমে আপনি নিজেকে চাপমুক্ত করতে পারেন।
যৌন জীবন উন্নত করে: যৌন জীবন উন্নত করতেও সাহায্য করে পিলো টক। গবেষণায় দেখা গেছে, বেশিরভাগ দম্পতিই শারীরিক সম্পর্কের আগে বা পরে পিলো টকে অভ্যস্ত।
বোঝাপোড়া ভালো হওয়া: পিলো টকিংয়ের আরও এক উপকারিতা হলো দুজনের মধ্যে বোঝাপোড়া ভালো হওয়া। দম্পতিদের এই অ্যভ্যাস একে অপরকে ভালোভাবে জানার ক্ষেত্রে দারুণ সহায়ক হতে পারে।
বিশ্বাস বাড়ে: বিশেষজ্ঞদের মতে, যে দম্পতিরা বিছানায় একে অপরের সঙ্গে কথা বলে বেশি সময় কাটায় তাদের মধ্যে দাম্পত্যে উচ্চ স্তরের বিশ্বাস দেখা যায়।
যোগাযোগে উন্নতি ঘটে: দাম্পত্যে যোগাযোগ দক্ষতা বাড়ায় পিলো টক। সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পর এ সময় দু’জন একসঙ্গে হয়ে মনের ভাব প্রকাশ করার মাধ্যমে দুজনের যোগাযোগে উন্নতি ঘটে। যা দাম্পত্য সম্পর্ক আরও ভালো রাখে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com