নীলফামারী জলঢাকা উপজেলায় ফসলের মাঠ জুড়ে এখন সোনালি ধানের সমারোহ। রোদ আর হিমেল হাওয়ায় ফসলের মাঠে দোল খাচ্ছে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন। চারদিকে কাচা পাকা সোনালী ধানে মুখরিত হয়ে উঠেছে গ্রামীণ জনপদ। শুরু হয়ে গেছে ফসলকে ঘরে তোলার কাজ। কৃষক-কৃষানিরা এখন দারুণ ব্যস্ত ফসল তোলাকে কেন্দ্র করে। উপজেলার গ্রামগুলোতে কেবল সোনালী ধানের হাতছানি। এছাড়া আগাম জাতের কিছু আমন ধান টুকটাক কাটা শুরু হলেও পুরো মাড়াই মৌসুম শুরু হবে আর মাত্র কিছু দিনপর ।তবে উপজেলার কৃষকেরা স্বপ্নের ফসল আমন ধান ঘরে তোলার অপেক্ষায় এখন দিন গুণছে। উপজেলার মাঠ ঘাট জুড়ে এখন আমন ধানের নয়নাভিরাম দৃশ্য চোখ জুড়ানো সোনালী রং দেখা যাচ্ছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী পৌরসভা সহ উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নে ২২ হাজার ৯ শত ৩৪ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে।যার চালের উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৭২ হাজার ৭ শত ৫১ মেট্রিকটন।এছাড়া সরকারি প্রণোদনা ও কর্মসূচির আওতায় উপজেলায় হাইব্রিড উচ্চফলনশীল (উফশী)-২ হাজার ১০০শত কৃষক পরিবারকে ধানের বীজসহ সার সহায়তা দেওয়া হয়েছে।এছাড়া কৃষকদের নানাভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাঠে মাঠে হাওয়ায় দুলছে আমন ধান গাছের পাতা। এর সাথে আনন্দে দুলছে কৃষকদের মন। এবারে মাঠের ফসলে তেমন কোনো রোগ বালাই না থাকায় বেশ হাসিখুশি রয়েছেন কৃষকেরা। পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড দুন্দীবাড়ী গ্রামের কৃষক নারায়ণ চন্দ্র রায় জানান, এবার সারে ৫ বিঘা জমিতে লাল গুটি স্বর্ণা ধান রোপণ করেছি। ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে আর কয়েক দিনের মধ্যে ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবো। আমন ধান রোপণের বিষয়ে উপজেলার কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা হলে তারা জানান, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তায় আমরা নিয়মিত আমন ধানের পরিচর্যা করেছি,নিয়ম অনুযায়ী সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করেছি। এছারা এবার আমন ধান রোপনের আগে ক্যানেলে যথেষ্ট পানি পাওয়ায় এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন শুধু ধান ঘরে তোলার অপেক্ষায়। এবিষয়ে জলঢাকা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুমন আহমেদ দৈনিক খবর পত্রকে জানান, আমরা অল্প জমিতে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অধিক ফলনের জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি। আমি সহ আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা আমন ধান চাষ ব্যাপারে বেশ তৎপর ছিলেন। সব সময় মাঠে তদারকি সহ ও কৃষকদের পাশে থেকে তাদের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।সেই সঙ্গে সরকারি প্রণোদনা ও নানা কর্মসূচির মাধ্যমে ধান চাষ বৃদ্ধিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।