মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৮ পূর্বাহ্ন

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় লাউ চাষ : বাম্পার ফলন

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারা বাজারে প্রতিদিন প্রায় দুই লাখ টাকার লাউ বিক্রি হয়। যা স্থানীয় কৃষকরা তাদের নিজস্ব জমিতে উৎপাদন করে এবং একটি ইউনিয়নের বাজারে বিক্রি করেও পটুয়াখালী জেলার চাহিদা মিটিয়ে থাকে। এবং দেশের বিভিন্ন যায়গার পাইকাররা এসে ক্রয় করে নিয়ে যায়। পাখিমারা বাজারের আল্লাহর দান সবজি আড়ৎদার মালিক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সবজিখ্যাত গ্রাম কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কুমির মারা গ্রাম। এ গ্রামের ৮০ শতাংশ মানুষ কৃষি কাজের সাথে সম্পৃক্ত। তাদের উৎপাদিত সবজি স্থানীয় বাজারে পাইকারিভাবে বিক্রি হয়। এখানকার সবজির কদর এখন দেশ জুড়ে। ফজরের পর পরই স্থানীয় পাইকাররা আড়ৎ এ এসে হাজির হয়। স্থানীয় কৃষকরা আড়ৎ এ সবজি নিয়া আসলেই শুরু হয় হাকডাক। ডাকের মাধ্যমে ১থেকে দেড় ঘন্টায় প্রায় ২ দুই লাখ টাকার শুধুই লাউ। তুলনামূলক শ্রম ও ব্যয় কম হওয়ায় লাউ চাষে ঝুকছে লাউচাষিরা। লাউসহ নতুন নতুন সবজিচাষে কৃষকদের আগ্রহী করে তুলতে পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা দিচ্ছেন কলাপাড়া উপজেলা কৃষি বিভাগ। লাউ চাষি মো. তাইয়্যেবুর রহমান বলেন, আমি এ বছর ৩০ হাজার টাকার লাউ উৎপাদনে ব্যয় করেছি। এ বছর কমপক্ষে ২ লাখ টাকা আয় হবে আমার। পরিশ্রম কম ও রোগ বালাই কম হওয়ায় এবারে লাউ চাষ করছি। প্রতিদিন সকালবেলা লাউ গাছ থেকে কেটে পাখিমারা বাজারের আড়ৎ এ নিয়া বিক্রি করে দেই। আমার সময় বাঁচে। আমিরাবাদ গ্রামের মো. কাওসার বলেন,৩০ শতকে লাউ চাষ করছি। খরচ বাদে ৬০ হাজার টাকা আয় করতে পারব। এবারে লাউয়ের উৎপাদন অনেক ভালো। আমাদের লাউ পাখিমারা বাজারে পাইকারি বিক্রি করে দেই। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্তুপে স্তুপে লাউ রাখা। এসব লাউ কুমিরমারা, আমিরাবাদ, নাওভাঙ্গাসহ স্থানীয় গ্রাম থেকে নিয়ে এসেছে কৃষকরা। পাইকাররা যে যার মত ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় কৃষকরা যে যার মত করে আড়ৎ এ লাউ নিয়া আসছে। বর্তমানে লাউভেদে ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। বাজারে দাম ভালো পেয়ে বেশ খুশি স্থানীয় কৃষকরা। কৃষক মো. জাকির বলেন, হাইব্রিড ও দেশীয় গোল জাতের লাউ চাষ করেছি। লাউয়ের বাম্পার ফলন হয়েছে। দেশের নানা প্রান্তে পাঠানো হয় এখানকার লাউ। সারা বছরই সবজি চাষে ব্যস্ত থাকি আমরা। পাখিমারা বাজারে আমরা পাইকারি দিয়ে দেই। ঐখান থেকে দেশের বিভিন্ন যায়গায় পাঠানো হয় লাউ। কলাপাড়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আরাফাত হোসাইন বলেন, অন্যান্য সবজির মধ্যে লাউ বেশ জনপ্রিয় সবজি। নীলগঞ্জ ইউনিয়নের উৎপাদিত সবজি জেলার চাহিদা মিটিয়েও দেশের নানা প্রান্তের চাহিদা মিটিয়ে থাকে। লাউ ছাড়াও নানা ধরনের সবজির চাহিদা রয়েছে এখানকার। এটিকে আমরা সবজিখ্যাত গ্রাম বলে থাকি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com