বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
কিডস ক্রিয়েশন টিভিতে চলছে শিশুদের নিয়ে কুইজ কম্পিটিশন ‘জিনিয়াস কিডস’ মার্কিন নতুন প্রশাসনের সাথে সম্পর্ক আরো বাড়বে : নজরুল ইসলাম একাত্তরে আ’লীগ মানুষকে বন্দুকের মুখে রেখে পালিয়েছিল, চব্বিশেও তাই করেছে : মঈন খান ১৮,০০০ ভারতীয়কে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন জাতীয় ঐক্য গড়তে বিএনপির সঙ্গে খেলাফত মজলিসের বৈঠক বিধবংসী আগুন তুরস্কের রিসোর্টে, নিহত কমপক্ষে ৬৬ জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল, সংবিধানের বিপরীতে হাঁটছেন ট্রাম্প ওষুধ-রেস্তোরাঁ-মোবাইলে ভ্যাট বাড়ছে না ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিসে’ খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সিদ্ধান্ত জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে সরে দাঁড়ালেন সারজিস

কমেছে সবজির দাম, ক্রেতাদের স্বস্তি

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়তে থাকায় প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। ফলে সাধারণ ক্রেতারা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে প্রত্যেক সবজির দাম গড়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমেছে বলে দাবি করেছেন বিক্রেতারা। গতকাল শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেগুন প্রতি কেজি ৩০-৪০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৫০ টাকা, ফুলকপির জোড়া ৬০-৭০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ধুন্দল ৫০ টাকা, দেশি শসা ৬০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, কচুমুখী ৭০ টাকা, জালি কুমড়া ৪০ টাকা পিস, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, মূলা ৩০-৪০ টাকা ও কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে।
এদিকে, গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে কমেছে মাছের দাম। মাঝারি সাইজের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজি ২৫০-৩০০ টাকা, বড় সাইজের পাঙাশ ২০০-২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২০০ টাকা, শিং ৪০০-৫০০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, চিংড়ি ৫০০-৬০০ টাকা ও দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়।
বিক্রেতারা বলছেন, নদীর মাছের সরবরাহ ভালো থাকায় গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে মাছের দাম কিছুটা কমেছে। মাংসের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৯০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ২০০-২১০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৭০ টাকা, লাল কক ৩৫০ টাকা। তবে, গরুর মাংস আগের মতোই ৮০০ টাকা ও খাসির মাংস ১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সবজি, মাছ ও ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমলেও পেঁয়াজ ও আলুর উচ্চ মূল্য স্থিতিশীল রয়েছে। মানভেদে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১১৫-১২০ টাকা। নতুন আলু ৯০ টাকা, পুরাতন আলু ৭০ টাকায়। এদিকে, রসুন বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা কেজি দরে, দেশি আদা ১২০ টাকা।
রাজধানীর দয়াগঞ্জ কাঁচাবাজারে কেনাকাটা করতে আসা গৃহিণী চন্দ্রা বালা বলেন, ‘‘দাম একটু কমায় চাহিদামত কেনাকাটা করতে পারছি। আশা করি, আগামী সপ্তাহে দাম আরও কমবে।’’
রাজধানীর শ্যামবাজারের পাইকারি বিক্রেতা সবুজ শিকদার বলেন, ‘‘সবজির উৎপাদন ও সরবরাহ ভালো থাকায় দাম কমেছে, আরো কমবে। কারণ এখন হাইওয়েতে চাঁদাবাজি নাই। ফলে আমরা ন্যায্যমূল্যে ক্রেতাদের হাতে সবজি তুলে দিতে পারছি।’’
রাজধানীতে চড়া সবজির বাজার
বাজারে মৌসুমী বাহারি সবজি আসতে শুরু করেছে। এই সময় সবজির দাম কম থাকার কথা থাকলেও এখনও চড়া সবজির বাজার। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৮০ টাকার নিচে নেই কোনো সবজি। নতুন আলুর কেজি ১২০ টাকা আর করলার কেজি ১০০ টাকা। এছাড়া বরবটি, বিচিওয়ালা শিম, টমেটো, গাজর ১০০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
আজকে বাজারে প্রতি কেজি নতুন আলু ১২০ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, করলা ১০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাঁচা টমেটো ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, বিচিওয়ালা শিম প্রতি কেজি ১০০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। অন্যদিকে সাধারণ শিম ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬০ টাকা, শালগম ৬০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, পেঁয়াজের ফুল প্রতি আঁটি ৪০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। আর মানভেদে প্রতি পিস ফুল কপি, বাঁধা কপি ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে বেড়ে গেছে খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম। দোকানিরা বাড়তি দর পেতে বোতল থেকে ঢেলে খোলা সয়াবিন হিসেবে তা বিক্রি করছেন, এমন অভিযোগও মিলছে অহরহ।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, খুচরা পর্যায়ে বর্তমানে এক লিটার খোলা সয়াবিন ১৬৫-১৬৮ টাকা এবং এক লিটার খোলা পাম তেল ১৫৮-১৫৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর শান্তিনগর বাজারে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী ফরিদ উদ্দিন। তিনি বলেন, শীত পড়ে গেছে তবুও বাজারে সবজির কেজি এখনো ১০০ টাকার ওপরে। অন্যগুলো ৬০ টাকা ৮০ টাকা। শীতের সময় সবজির দাম কমার কথা থাকলেও এখনো বাড়তি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এই সময় যদি সবজির দাম না কমে, তাহলে আর কোন সময় কমবে?
রামপুরা বাজারের বিক্রেতা শহীদুজ্জামান বলেন, আগের তুলনায় সবজির দাম কমেছে। কিছুদিন আগেও সবজির দাম খুব বেড়ে ছিল। এখন কেবল শীত পড়তে শুরু করেছে, অনেক সবজি এখনো বাজারে ওঠেনি। নতুন করে সবজি উঠলেই দাম অনেক কমে আসবে। আবার বেশ কিছু সবজির মৌসুম ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে, সেইসব সবজির দাম কিছুটা বাড়তে থাকে। আর ১৫-২০ দিনের মধ্যে সব ধরনের সবজির দাম কমে আসবে এবং নতুন সবজিতে বাজার ভরে যাবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com