রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন পদ্ধতি বাতিলসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে একটি পরিষদ। গতকাল শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন পদ্ধতি বাতিলের দাবি পরিষদ-এর পক্ষ থেকে আয়োজিত প্রতীকী অনশনে এই দাবি তোলা হয়। পরিষদের চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- এক. গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ আইনে সংযোজিত ৯০বি ধারাসহ সকল কালোআইন বাতিল করে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় অফিস ও গঠনতন্ত্রের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের বিধান চালু করা। দুই. স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এক শতাংশ ভোটারের আগাম স্বাক্ষরের বিধান বাতিল করা। তিন. নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নির্বাহী বিভাগের কর্তৃত্ব বন্ধ করা এবং চার. স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের ব্যবহার বন্ধ করা।
এই সময় পরিষদের আহ্বায়ক সৈয়দ হারুন-অর-রশীদ বলেন, ‘এক-এগারোর সেনা সমর্থিত অনির্বাচিত ফখরুদ্দিন-মঈনউদ্দিন সরকার রাজনীতি ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের নামে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ আইনে ৯০বি ধারা যুক্ত করে এক কালাকানুন জারি করে। পরবর্তীতে নির্বাচিত আওয়ামী সরকার ওই কালাকানুনকে আরও কঠোর করে রাজনৈতিক দলের ১০টি জেলা কমিটি ও অফিসের পরিবর্তে ২১টি, ৫০টি উপজেলা বা মেট্রোপলিটন থানা কমিটি ও অফিসের পরিবর্তে ১০০টি এবং প্রত্যেকটি উপজেলা বা মেট্রোপলিটন থানা কমিটিতে কমপক্ষে ২০০ ভোটার সদস্য বাধ্যবাধকতা জারি করে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সারাদেশে কমপক্ষে ২০ হাজার ভোটার সদস্যের বাধ্যবাধকতা সৃষ্ট করা হয়েছে, যা পরিচালনায় মাসিক ব্যয় দাঁড়ায় কমপক্ষে ২৫ লাখ টাকা। কাজেই নতুন দলগুলোর পক্ষে এসব শর্তপূরণ করে দলের নিবন্ধন নেওয়া প্রায় অসম্ভব। অন্যদিকে সরকারের তাবেদার ও অথর্ব নির্বাচন কমিশন উক্ত আইনকে আরও কঠোরতর করার লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’ জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পরিষদের সদস্য সচিব আবদুল মোনেমসহ অন্যান্য নেতরা উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন।