কক্সবাজারের মহেশখালীর একটি হত্যা মামলায় দৈনিক যায়যায় দিনের মহেশখালী প্রতিনিধি কক্সবাজার উপকূলীয় সাংবাদিক ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম কাজলকে হত্যা মামলার আসামি করার প্রতিবাদে ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে একদল সাংবাদিক। ১১ নভেম্বর বুধবার দুপুর ১ টার সময় কক্সবাজার উপকূলীয় সাংবাদিক ফোরাম ও মহেশখালীতে কর্মরত সাংবাদিকদের যৌথ উদ্যোগে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। কক্সবাজার উপকূলীয় সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক দৈনিক পূর্বকোণ ও বিজয় টিভির প্রতিনিধি এ.এম হোবাইব সজীবের সঞ্চালনায় উক্ত সংগঠনের সভাপতি ও দৈনিক মেহেদীর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও চ্যানেল এস টিভি’র কক্সবাজার প্রতিনিধি স.ম ইকবাল বাহার চৌধুরীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন, আর টিভির কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি দৈনিক আমাদের কক্সবাজারের (ভারপ্রাপ্ত) সম্পাদক সাইফুর রহিম শাহিন, দৈনিক সমুদ্র কন্ঠের প্রধান প্রতিবেদক জসিম উদ্দিন, সিটিএনের নিবার্হী সম্পাদক ইসলাম মাহমুদ, দৈনিক আমাদের কক্সবাজারের রামু প্রতিনিধি আব্দুল মালেক সিকদার। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন,ডেইলি সান এর কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি ওয়াহিদুর রহমান রুবেল, সি প্লাস টিভির বিশেষ প্রতিনিধি এহসান আল কুতুবী, দৈনিক মেহেদীর পরিচালনা সম্পাদক মোঃ নাজিম উদ্দীন, দৈনিক মেহেদীর মফস্বল সম্পাদক মাসুদুল হক আরমান, দৈনিক মেহেদীর স্টাফ রিপোর্টার সাখাওয়াত হোসেন, দৈনিক সকালের সময়’র কক্সবাজার প্রতিনিধি শাহেদ ফেরদৌস হিরু, কক্সবাজার উপকূলীয় সাংবাদিক ফোরামের প্রচার সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সরওয়ার কামাল, নিবার্হী সদস্য দৈনিক ইনানি প্রতিনিধি নিজাম উদ্দিন, দৈনিক সকালের সময় রামু প্রতিনিধি নাছির উদ্দিন, দৈনিক বাংলাদেশ কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম, বীচ টিভির সিইও মোঃ সোহেল, আলোকিত উখিয়ার স্টাফ রিপোর্টার মোঃ ফরিদ প্রমুখ। উক্ত মানববন্ধনে মহেশখালীতে কর্মরত সাংবাদিকদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, মহেশখালী প্রেসক্লাবের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দৈনিক কক্সবাজার ৭১ প্রতিনিধি রমজান আলী, জাতীয় দৈনিক লাখো কন্ঠের প্রতিনিধি আব্দু ছালাম কাকলি, দৈনিক ইনানি প্রতিনিধি কাইছার হামিদ, দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন ও কক্সবাজার বার্তা প্রতিনিধি শাহাদাত আলী জিন্নাহ, জাতীয় দৈনিক সরেজমিন ও আজকের কক্সবাজার বার্তা প্রতিনিধি ইয়াছিন আরাফাত, অনলাইন পত্রিকা আপন বাংলা প্রতিনিধি শাহরিয়া বাবু প্রমূখ। বক্তারা আফরোজা হত্যা মামলায় সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম কাজলকে আসামি করায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং অবিলম্বে এ হত্যা মামলা থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেন। সাংবাদিক নেতারা বলেন, ‘সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম কাজলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা মামলায় আসামি করা হযে?ছে, যা কলঙ্কজনক ও একজন কলম সৈনিক কন্ঠরোধ করার সামিল। অনতিবিলম্বে এ হত্যা মামলা থেকে কাজলের নাম প্রত্যাহারের দাবি জানান। এবং দোষীদের তদন্ত পূর্বক শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন। একই সঙ্গে সরকারের কাছে সারা দেশের সাংবাদিকদের নিরাপত্তার দাবি জানাই।’ বক্তারা আরোও বলেন, ‘আপরোজা হত্যায় আসল জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে খুনির ঐ সময়ের মোবাইল ট্রেকিং করে খুনের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করা কঠিন কোন বিষয় নয়, তাই মোবাইল কল রেকর্ড যাচাই করে প্রকৃত খুনি ও সহযোগিদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি এ মামলায় নিরাপরাধ কোনো ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হন, তা দেখার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবি করেন সাংবাদিক মহলের।’ উল্লেখ্য,গত ১৭ অক্টোবর মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তরনলবিলা গ্রামের বাপ্পির স্ত্রী আফরোজা বেগম খুন হয়। এতে নিহতের ভাই বাদী হয়ে খুনি বাপ্পিকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের নামে একটি হত্যা মামলা করেন। উক্ত মামলায় আসামি করা হয় সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম কাজলকে। প্রসঙ্গত, গত ১২ অক্টোবর শ্বশুর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন আফরোজা। সাথে সাথে পালিয়ে যায় স্বামী রাকিব হাসান বাপ্পী। নিখোঁজের পাঁচদিন পর স্বামীর বাড়ির উঠোনের গর্ত থেকে আফরোজার বিভৎস লাশ উদ্ধার করা হয়।