নড়াইলে দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারন মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন আমেরিকার টেক্সাস বিএনপির সেক্রেটারি শেখ জহিরুল ইসলাম। দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর প্রবাস জীবনের পর সোমবার দুপুরে নড়াইলে পৌঁছালে শত শত বিএনপির নেতা-কর্মী ও সাধারন মানুষ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে ভালোবাসায় সিক্ত করেন। নড়াইল শহরে পৌঁছানোর পর তিনি শহরের চৌরাস্তায় বিএনপির জেলা কার্যালয়ে যান। এখানে তাকে বরণ করে নেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও নড়াইল পৌরসভার সাবেক মেয়র মো: জুলফিকার আলী মন্ডল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পেড়লী ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলতাফ উদ্দীন আনসারী, জেলা যুবদলের যুগ্ন সাধারন মো: শহিদুল ইসলাম, কালিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম মোর্শেদ, পেড়লী বাজার বণিক সমিতির সভাপতি জেষ্ঠ প্রভাষক মো: আলমগীর হোসেন, সেক্রেটারি বিএনপি নেতা মো: জহিরুল ইসলাম, বিএনপি নেতা মাহমুদ মোল্যা, পেড়লী ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি জামির হোসেন মোল্যা, সাংগঠনিক সম্পাদক রহমত শেখ, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ই¯্রাফিল জোয়ার্দ্দার, কালিয়া উপজেলা যুবদল নেতা বাবুল জোয়ার্দ্দার, ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সেক্রেটারি বাবুল শেখ, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি দিদার জোয়ার্দ্দার, সেক্রেটারি ইয়ামিন শেখ, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার শেখ, যুবদল নেতা রাজা শেখ। দলীয় কার্যালয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপি নেতা শেখ জহিরুল ইসলাম বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান এদেশে বাকশাল কায়েম করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। তাঁর কন্যা শেখ হাসিনাও পিতার পথ অনুসরণ করে বিএনপিসহ বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের গুম খুন ও আয়না ঘর করে ক্ষমতা আকড়ে ধরে রাখতে চেয়েছিলেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও রক্তের বিনিময়ে শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়েছেন। হাসিনাকে দেশে এনে খুন গুমের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে বিচারের কাঠগোড়ায় দাঁড় করানোর জন্য জোর দাবি জানান তিনি। এখানে বক্তব্য শেষে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে পেড়লী ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ে গিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।