বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি দীপিকা-রণবীর। ২০১৩ সালে পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘রামলীলা’সিনেমায় কাজের সময় দুই জনের প্রেমের গল্প শুরু হয়। রুপালি পর্দায় তাঁদের প্রেমকাহিনি দর্শক সানন্দে গ্রহণ করেছিলেন। ভক্তরা চেয়েছিলেন, বাস্তবেও এ জুটির পরিণয় হোক, হয়েছিলও সেটা। দীর্ঘদিন প্রেমের পর ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর ইতালির লেক কোমোতে কঙ্কনি ও সিন্ধি রীতিতে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন দীপিকা-রণবীর। বিয়ের পরে প্রথম সাক্ষাৎকারে রণবীর বলেছিলেন, ২০১২ সালে প্রথম দেখাতেই নাকি দীপিকাকে মনে মনে বিয়ে করে নিয়েছিলেন তিনি। ফিল্মফেয়ারের সম্পাদক জিতেশ পিল্লাইকে বলেছিলেন, ‘আমি প্রথম দীপিকাকে দেখি জি সিনে অ্যাওয়ার্ডের রাতে, ম্যাকাও–এ। রুপালি গাউনে সে যেন কোনো মানুষ নয়, কোনো সাধারণ নারী নয়, সে যেন একটা অপ্সরী। দীপিকা বিশ্বের যেকোনো পুরুষের জন্য আরাধ্য। সেই প্রথম দর্শন কোনো পুরুষের পক্ষে ভোলা সম্ভব নয়। আমি তো প্রথম দেখায় দীপিকাকে মনে মনে বিয়ে করে নিয়েছিলাম। এবার দুজনে মিলে করলাম।’ রণবীর যখন দীপিকাকে মনে মনে বিয়ে করে ফেলেছেন, তখন দীপিকা রণবীরকে ঠিকমতো চেনেনও না। কেননা, রণবীর তখনো ‘স্ট্রাগলিং অ্যাক্টর’। মাত্র দুটো ছবি মুক্তি পেয়েছে। দুটোর কোনো ছবিই আহামরি সাড়া ফেলেনি। অথচ দীপিকা ২০০৭ সালে ‘ওম শান্তি ওম’ সিনেমা মুক্তির পরই রীতিমতো সুপারস্টার।
রণবীরকে বিয়ে করা প্রসঙ্গে দীপিকা বলেন, ‘ও যখন আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়, আমি তখন প্রতিষ্ঠিত তারকা। ও মাত্র শুরু করছে। তা–ও শুরুটা আশানুরূপ ভালো হয়নি। প্রথম ওর যে বিষয়টা আমার চোখে পড়ল, সেটা হলো ওর আত্মবিশ্বাস। ওর চোখে–মুখে একটাই বার্তা, ও টিকে থাকতে এসেছে। বলিউডের বইয়ে একটা অধ্যায় হতে এসেছে। আমার হাতে তখন বড় বড় ছবি। আর একটা সিনেমায় সাইন করার জন্য ওকে তখন সংগ্রাম করতে হয়েছে। অথচ ও কখনো আমাকে ঈর্ষা করেনি। বরং দিনের পর দিন আমার সেটে গিয়ে আমাকে সাহস জুগিয়েছে। আমাকে একনজর দেখার জন্য ও দুই দিন প্লেনে চড়ে আমাদের যেখানে শুটিং হচ্ছে সেখানে গেছে। আবার পরের ফ্লাইটে ফিরে এসে নিজের শুটিং ধরেছে। ও আজ অনেক বড় তারকা হয়েছে। আর এটা হবারই ছিল। ওর চেয়ে ভালো জীবনসঙ্গী, ভালো মানুষ পাওয়া সম্ভব নয়।’