বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫২ অপরাহ্ন

এখনই নয়, ন্যূনতম সংস্কার করেই নির্বাচন চান মির্জা ফখরুল

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বুধবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২৫

‘এখনই নির্বাচন নয়’, ন্যূনতম সংস্কার করেই নির্বাচন চান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের ‘গ্রন্থ আড্ডা’ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী ও জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের ১২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভায় ফখরুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাকে অনেকে ভুল বোঝে বলে থাকেন, আপনি এত নির্বাচন নির্বাচন করেন কেন? হ্যাঁ আমাকে, বিশেষ করে ছাত্ররা তো বলেই। এখানে নির্বাচন বলার কারণটা হচ্ছে একটাই এবং আমরা বিশ্বাস করি, যেকোনো নির্বাচিত সরকার কিন্তু অনির্বাচিত সরকারের চেয়ে ভালো। আমার অ্যাকসেস থাকে, আমি যেতে পারি, কথা বলতে পারি..এখন আমার সেই জায়গাটা নেই।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এখনই নির্বাচন করে ফেলতে হবে, আমরা তা তো বলছি না। ন্যূনতম যে সংস্কারটা, সেটা করে নির্বাচন করলে সমস্যাগুলো অনেকটা সমাধান হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সংস্কারের প্রস্তাব আসতে শুরু করেছে। আমার বিশ্বাস, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা খুব শিগগির এসব বিষয় নিয়ে আমাদের ডাকবেন, একটা সমাধানের দিকে আসবেন, আলোচনা হবে, ঐকমত্যের ভিত্তিতে আমরা একটা জায়গায় পৌঁছাব।’
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘নির্বাচনের কথা এ জন্য তাড়াতাড়ি বলি যে নির্বাচনটা হলে দেশের সমস্যাগুলো চলে যাবে। এখানে আপনার একটা নির্বাচিত সরকার, সে একটা পিপলস ম্যান্ডেট নিয়ে বসবেৃএরা (অন্তর্র্বতী সরকার) তো এখন বসতে পারিনি। ওদের মধ্যে যে কনফিডেন্স, সেই কনফিডেন্স তো নাই। জনগণের ভাষাটা তো বুঝতে হবে। সেটা আপনার একটা নির্বাচিত সরকার সবচেয়ে ভালো বোঝে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
‘ধৈর্য ধরুন’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ধৈর্য ধরে যাই, সামনের দিকে যাই। অনেক ত্রুটি আছে, আমি বিশ্বাস করি অনেক ত্রুটিকে তারা (অন্তর্র্বতীকালীন সরকার) তুলে নিয়ে এসেছেন। তারা একটা জঞ্জালের মধ্যে এসেছে, ধ্বংসপ্রাপ্ত জঞ্জাল। আমার ধারণা ছিল না, এত খারাপ হয়ে গেছে। এই পরিবর্তনের পরে আমরা যখন দু–একটা জায়গায় খোঁজখবর নিই, অফিস-আদালতে খোঁজ-খবর নিই। একটা ভয়াবহ কা-, দুর্নীতি-চুরি ব্যক্তিগত স্বার্থ ছাড়া আর কোনো চিন্তা নেই, সরকারি আমলাদের মতোৃবলতে আমি বাধ্য হলাম দুঃখিত।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই অবস্থার পরিবর্তন তো এক দিনে হবে না, দ্রুত হবে না। ধৈর্য ধরুন, গণতান্ত্রিক একটা স্ট্রাকচার (কাঠামো) খাড়া হোক, সেই স্ট্রাকচার খাড়া হলেই নিশ্চয়ই আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারব। কখনো ধৈর্য হারাবেন না, কখনো আশা হারাবেন না। কেন যেন জানি না, আমাদের প্রত্যাশা অনেক কিন্তু ধৈর্য একেবারেই কম।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এই তো কয়েক মাস হয়েছে। এর মধ্যে সব পাগল হয়ে গেছে। দেখেন, আমাদের এই সরকার অনেক ভুল-ত্রুটি করছেৃভুল তো করবেই। কারণ, তারা তো রাজনীতি জানে না, বোঝে না। তাই তাদের তো সেই সময় দিতে হবে।’
ফখরুল বলেন, ‘এখন প্রতিদিন দাবিদাওয়া নিয়ে মিছিল বের হচ্ছে, এত দিন কোথায় ছিলে বাবা? তখন তো একটা কথা বলার কেউ সাহস, সুযোগও পাওনি। আর এখন যেহেতু একটা অবস্থা তৈরি হয়েছে, সবাই নেমে গেছ।’
জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি আবদুস সালামের সভাপতিত্বে সাবেক ছাত্রনেতা আবদুস সাত্তার পাটোয়ারীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, শিক্ষানুরাগী আফরোজা খানম, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী, শিক্ষকনেতা জাকির হোসেন, সমাজকর্মী সাইয়িদ আবদুল্লাহ, জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের জহির দিপ্তী, মঞ্জুর এলাহী, কাজী জহিরুল ইসলাম, হাসান আল আরিফ প্রমুখ বক্তব্য দেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com