চকরিয়ার মাতামুহুরীর চর থেকে বালু উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালতের একাধিক অভিযান-মামলা গ্রেফতারের মধ্যেই অপ্রতিরোধ্যভাবে চলছে এ উত্তোলন ও বিক্রি বাণিজ্য। ফলে আশপাশের জমি সহ হুমকীতে রয়েছে মহাসড়কের চিরিঙ্গা ব্রীজ, বেতুয়া বাজার ব্রীজ ও বাটাখালী ব্রীজ। সরেজমিনে দেখা যায়, চকরিয়া পৌরসভার চিরিঙ্গা ব্রীজ থেকে আমান্যার চর, সাহারবিল মাইজ ঘোনার সংলগ্ন মাতামুহুরী নদীর চরে বালুদস্যুতা চলছেই। এ চরের দুই তীরে ভাঙ্গনের কবলে রয়েছে ঘরবাড়ী সহ শত শত একর মৌসুমী সব্জি ক্ষেত। নদীর চরের মৌসুমী সব্জি ক্ষেতের বুক চিরে বালু উত্তোলন করে বিক্রীতে জড়িত শতাধীক ডাম্পার ট্রাকের আনাগুনা ক্ষেত খামারের জন্য যেমন চরম সাংঘর্ষিক তেমনি সরকার হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব ও। রাজনৈতিক সেল্টারে আধিপত্যবাদী কতিপয় ব্যক্তি আইনের তোয়াক্কা না করে অবৈধ পন্থায় চলছে বালু উত্তোলন। বাণিজ্যিক এ বালি উত্তোলনে হুমকীতে পরিবেশ প্রতিবেশ। চকরিয়ার ভ্রাম্যমান আদালতের একাধিক অভিযানে গ্রেফতকর, অর্থদন্ড সহ মালামাল জব্দের পরও থামছে না বালু দস্যুদের এ দৌরাত্ব। অধিকতর ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে বালু উত্তোলনের বিরোদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী সচেতন মহলের। এ ব্যাপারে কাকারা ইউনিয়ন ভুমি তহশিলদার সাইফুল ইসলাম বলেন, বালু দস্যুতায় জড়িতরা সবাই রাজনৈতিক পরিচয় দেয়া সংঘবদ্ধ ব্যক্তি। আইনের কথা বললেই মারমুখি হয়ে উঠে। এমন কি হামলার চেষ্টাও করে। তাই প্রশাসনিক ভাবে পুলিশের সহায়তা ছাড়া তাদের বন্ধ করতে যাওয়া মানে সম্মান নিয়ে টানাটানি। তাই অধিকতর ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে বালু উত্তোলনের বিরোদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া আবশ্যক বলে মনে করেন তিনি। অন্যথায় হুমকীর মুখে পড়বে মাতামুহুরীর চিরিঙ্গা ব্রীজ, বেতুয়া ব্রীজ ও বাটাখালী ব্রীজের স্থায়িত্ব।