সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ব্যক্তিমালিকানা জায়গা দখল করে ও আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মহিষলুটী হাটে মাছের সেড নির্মাণ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। গতকাল সোমবার বেলা ১১ টায় তাড়াশ প্রেস ক্লাবের সামনে তারা মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে ভুক্তভোগী নুর হোসেন(৯৪) বলেন, উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর মহিষলুটী চৌরাস্তা মৎস্য ব্যবসায়ী আড়তদার সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাথে যোগসাজস করে মহিষলুটী হাটের পাশে আমার ১৯ শতক জায়গার দখল নিয়েছেন। হাফ ওয়ালের ১টি ১৮ হাত ঘর ভেঙে দিয়েছেন। সেই জায়গাতে মাছের সেড নির্মাণ করা হচ্ছে। জানুয়ারি মাসের ২৩ তারিখে মহিষলুটি হাটে মাছের সেড নিমার্ণের উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সেডের নির্মাণ কাজ বন্ধের জন্য বিশেষভাবে বলা হয়। কিন্তু কিছুতেই সেড নির্মাণ বন্ধ করছেন না মহিষলুটী চৌরাস্তা মৎস্য ব্যবসায়ী আড়তদার সমবায় সমিতি লিমিটেড ও এলজিইডি। নুর হোসেনের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস বলেন, নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পরও মহিষলুটী হাট কমিটি ও এলজিইডি যোগসাযোস করে মহিষলুটী হাটে মাছের সেড নির্মাণ করছেন আমাদের জায়গার উপর। প্রতিদিনই যথারীতি নির্মাণ কাজ চলছে। সম্ভাব্য সব রকমের চেষ্টা করেও সেড নির্মাণ বন্ধ করতে পারছি না। আমরা বড় অসহায় হয়ে পড়েছি। নুর হোসেনের নাতি রুবেল আহম্মেদ বলেন, মহিষলুটী হাটে মাছের সেড নির্মাণ বন্ধের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খালিদ হাসান, উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক ও তাড়াশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসেন বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া মৌখিকভাবে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইমলাম, পাবনা অঞ্চলের এলজিইডির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মমিন মজিবুল হক সমাজী, সিরাজগঞ্জ নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ছাইফুল ইসলামকে অবগত করা হয়েছে। নিমগাছি আর্মি ক্যাম্পে দুইবার গিয়েছি আমি ও আমার নানা নুর হোসেন। বিশেষ করে আর্মি ক্যাম্প থেকে মহিষলুটি হাটের সভাপতি আজম আলীকে মুঠোফেনে সেড নির্মাণ বন্ধ রাখতে বলেছেন। তারা আদালতের নিষেধাজ্ঞা ও সবার আদেশ-নিষেধ উপেক্ষা করে সেড নির্মাণ করছেন। রুবেল আহম্মেদ আরো বলেন, আমাদের জায়গাতে আমরাই যেতে পারি না। এরই মধ্যে আমাকে মারধর করেছেন মহিষলুটি হাটের সদস্য ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল প্রধান। মহিষলুটী চৌরাস্তা মৎস্য ব্যবসায়ী আড়তদার সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি ও নওগাঁ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আজম আলী বলেন, সেড নির্মাণের কাজ চলবে। তারা পারলে বন্ধ করুক। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা বলেন, উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফজলুল হককে বিজ্ঞ আদালতের আদেশ যথাযথ কার্যকর করতে বলেছি। উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক বলেন, মহিষলুটী হাটে মাছের সেড নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য পর পর তিনটি পত্র দেওয়া হয়েছে ঠিকাদার বরাবর। ঠিকাদার মো. শামিম হোসেন বলেন, আমি কোন লিখিত পত্র পাইনি। এ প্রসঙ্গে পাবনা অঞ্চলের এলজিইডির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মমিন মজিবুল হক সমাজী দৈনিক খবরপত্রকে বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারকে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।