বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১২:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
তীব্র গরমে কালীগঞ্জে বেঁকে গেছে রেললাইন, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক মেলান্দহ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী দিদার পাশা জনপ্রিয়তায় এগিয়ে শ্রীপুর পৌরসভার উদ্যোগে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ অভিবাসী কর্মীদের পুনঃএকত্রীকরণে কর্মশালা রায়পুরায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা ঘোষণা আলী আহমেদের কমলগঞ্জের মিরতিংগা চা বাগানে অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সভা অব্যাহত পলাশবাড়ীতে প্রচন্ড গরমে ঢোল ভাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে তরমুজ বিতরণ জুড়ীতে টিলাবাড়ি ক্রয় করে প্রতারিত হওয়ার অভিযোগ আনারসের পাতার আঁশ থেকে সিল্ক কাপড় তৈরির শিল্পকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে-সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি রাউজানে পথচারীদের মাঝে যুবলীগের ফলমূল ও ছাতা বিতরণ

কদর বাড়ছে গরম কাপড়ের

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২০

শীত এখনো জেঁকে বসেনি। দিনের বেলা রোদের রাজত্ব শেষে সন্ধ্যা নামতেই বদলে যাচ্ছে তাপমাত্রা। ভোরে কুয়াশার সঙ্গে শীতের আবহ বেশ আঁচ করা যায়। যদিও রোদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এখনও পেরে ওঠেনি শীত। তবে এরই মধ্যে কদর বাড়তে শুরু করেছে গরম কাপড়ের। দাম, মান আর দোকান ভেদে বিভিন্ন ধরনের গরম কাপড় পাওয়া যাচ্ছে রাজধানীর দোকানগুলোতে। বিশেষ করে ফুটপাতের ভাসমান দোকানগুলোতে এসব কাপড় বিক্রি হচ্ছে খুব বেশি। উলের তৈরি সোয়েটার, চাদরের সঙ্গে এসেছে ব্লেজার, ছোটদের গরম কাপরের সেট, টুপিসহ আরও অনেক পোশাক। বড় দোকানগুলোতে এসেছে ফুল হাতা টি-শার্ট, হুডি, শীতের টুপি, জ্যাকেট, ডেনিম শার্ট, ডেনিম সোয়েটার, মাফলার ইত্যাদি। বাজারে পাওয়া যাচ্ছে কাপড়ের তৈরি জুতা, ঘরে পরার উলের জুতা ও কম্বল। এসব পোশাকের দামও রয়েছে ক্রেতার সাধ্যের মধ্যে। গতকাল শুক্রবার ২৭ নভেম্বর রাজধানীর মৌচাক, মালিবাগ, খিলগাঁও, পল্টন, গুলিস্থান, মতিঝিল এলাকার বিভিন্ন মার্কেট ও ফুটপাত ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর এসব এলাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্রেতার সমাগম হচ্ছে ফুটপাতে। ফুটপাতে ছোটদের পোশাকের চাহিদাই বেশি চোখে পড়ছে। সেই সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে বড়দের পোশাকও। ফুটপাতে সর্বনিম্ন ৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৩৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে হরেক রকমের গরম পোশাক। যার মধ্যে রয়েছে শিশুদের জিন্সের ফ্রক, স্কার্ট, উলের পোশাক, বেবি কিপার, রেকসিনের জ্যাকেট, ওভারকোট, কার্ডিগান, মাফলার ও নতুন ডিজাইনের কানটুপি। এসব পোশাক মৌচাক, মালিবাগ, গুলস্থান এলাকার দোকানগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে। ছেলেদের পোশাকের মধ্যে এসব বাজারে রয়েছে গেঞ্জি বা ট্রাউজারের কাপড় দিয়ে তৈরি হুডি, ফুল হাতা টি-শার্ট, শীতের টুপি, জ্যাকেট, ডেনিম শার্ট, মিক্স স্টাইলের সোয়েটার আর ব্লেজার। এছাড়া বাজারে এসেছে বিভিন্ন ধরনের কম্বল। নানা ডিজাইনের এসব কম্বল পাওয়া যাচ্ছে ১৫০ থেকে দুই হাজার টাকার মধ্যে। তবে এক্সপোর্ট কম্বলের দাম চাওয়া হচ্ছে চার হাজার থেকে আট হাজার টাকার মধ্যে। কম্বলের দোকানে ক্রেতার আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, কম্বলের দাম বেশি বলছেন বিক্রেতারা। মৌচাক এলাকার ক্রেতা হামিদা আজাদ বলেন, শীত ভালোভাবে না আসায় এখন পর্যন্ত গরম কাপড়ের দাম কম আছে। এ সুযোগটি কাজে লাগাতেই মার্কেটে আসা। বেশকিছু কপড় কেনা হয়েছে। খিলগাঁও বাজারের বিক্রেতা সুমন মিয়া বলেন, আমাদের এখানে গরম কাপেড়ের বিক্রি আগে থেকেই শুরু হয়েছে। বিশেষ করে ছোটদের কাপড়। এখন দাম বাড়তে শুরু করেছে। শীত বেশি হলে কাপড়ের দাম আরও বেড়ে যাবে। পল্টন এলাকার ফুটপাত ব্যবসায়ী আলী আহমেদ বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও গরম কাপড়ের ব্যবসা করছি। তবে ফুটপাতে জায়গার স্বল্পতা আর সিটি করপোরেশনের বাঁধার কারণে ব্যবসা জমাতে পারছি না। এখন পর্যন্ত বিক্রি বেশ ভালো। ছোটদের পোশাকের পাশাপাশি দাম কম হওয়ায় এখন কম্বল বিক্রি আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। কম্বলের দামের বিষয়ে তিনি বলেন, ১৫০ থেকে ৮ হাজার টাকার মধ্যে কম্বল মিলছে। তবে এক্সপোর্ট কোয়ালিটির দাম বেশি পড়লেও অন্য বছরের তুলনায় দাম অনেক কম। শীত বেশি হলে আরও দাম বাড়বে বলে জানান তিনি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com