রাজধানীর কলাবাগানে ইংরেজি মাধ্যমপড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে (১৭) ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত যুবকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ ব্যানারে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বক্তব্য দেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার, সদস্য সুস্মিতা মল্লিক, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি জাহিদ সুজন, চারণ সাংস্কৃতিক সংসদের সুপ্তি ও নারীমুক্তি আন্দোলনের নাঈমা খালেদ মনিকা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এসেও স্কুলছাত্রীদরে ধর্ষিত হতে হচ্ছে। আজকে এ ধর্ষণের ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ছে। এ ব্যাধি থেকে সহজে নিস্তার নেই। বিচারহীনতার কারণে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। কলাবাগানে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।
গত বৃহস্পতিবার মাস্টারমাইন্ড স্কুলের দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ ওঠে। ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থীকে গুরুতর অবস্থায় আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এঘটনায় দিহানকে (১৮) একমাত্র আসামি করে মেয়েটির বাবা ধর্ষণ ও হত্যার মামলা করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা মা কর্মস্থলের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে যান। এর এক ঘণ্টা পরে তার বাবাও ব্যবসায়িক কাজে বাসা থেকে বের হয়ে যান। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ওই শিক্ষার্থী তার মাকে ফোন করে কোচিং থেকে পড়ালেখার পেপার্স আনার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। এই মামলার একমাত্র আসামি ‘ও’ লেভেল পড়ুয়া শিক্ষার্থী দুপুর আনুমানিক ১টা ১৮ মিনিটে ফোন করে ওই শিক্ষার্থীর মাকে জানান, মেয়েটি তার বাসায় গিয়েছিলেন। হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়ায় তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়েছে।
অফিস থেকে বের হয়ে আনুমানিক দুপুর ১টা ৫২ মিনিটে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা হাসপাতালে পৌঁছেন। হাসপাতালের কর্মচারীদের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসামি তার কলাবাগান ডলফিন গলির বাসায় ডেকে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে অচেতন হয়ে পড়লে বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য আসামি নিজেই তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে কলাবাগান থানা পুলিশের একটি দল হাসপাতালে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায় বলে উল্লেখ করা হয় এজাহারে।