ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার মেদুয়ারী ইউনিয়নের বান্দিয়া গ্রামে সরকারি ১২ ফিটের কাঁচারাস্তাটির অবস্থা বেহাল হয়ে পরেছে, অবৈধ লড়ি চলাচল ও লড়িতে বারি মালামাল বহন করে ও দু’পাশে মৎস্য খামারের পানি থাপায় রাস্তাটি ভেঙ্গে গেছে। বর্তমান রাস্তাটি দিয়ে একটি সাইকেল তো দূরের কথা মানুষ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। যদিও রাস্তাটি ১২ ফিঠের কিন্তু বর্তমান রাস্তাটি দু’ফিঠ নেই। অভিযোগ স্থানীয় গ্রামবাসীর। স্থানীয় এলাকাবাসী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বান্দিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় হইতে বড় পাঠান বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটি দিয়ে বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াত রয়েছে। একটি হাইস্কুল, একটি কলেজ, একটি প্রাইমারী স্কুল ও একটি এবতেদায়ী মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীসহ প্রায় ৫/৬ হাজার লোকজনের যাতায়াত রয়েছে। তাছাড়া এ রাস্তাটি ভেঙ্গে যাওয়াতে গ্রামের ছাত্র-ছাত্রী ও পথচারীদের যাতায়াত করাটা ব্যাপক অসুবিধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ রযেছে। সরজমিন গিয়ে দেখা যায় এবং স্থানীয় লোকজনর সাথে কথা বললে জানান, রাস্তাটি বহু পূর্বে সরকারি ভাবে করিয়েছিলেন। মাতাব উদ্দিন মেম্বার সাহেব এবং বর্তমান মেম্বার মজিবর রহমান শাকিল উনিও ৪০ দিনের কর্মসচির শ্রমিক দিয়ে সংস্কার করানো হয়েছিল। অথচ এ রাস্তাটি দিয়ে যাতায়াত করা মত কোন অবস্থা নেই। ব্যাপারে খামার মালিকরা কোনো কর্ণপাত করছেন না বলেও খুব প্রকাশ করেন এলাকার বিশেষ জনরা। স্থানীয় বজলুল রহমান মাস্টার, ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ হাবিব খান, ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা, মোকছেদুল রহমান খানসহ শতাধিক লোকজন জানান, খামার মালিকদেরকে বারবার জানানোর পরেও তারা কোনো কর্ণপাত করছেনা। মৎস্য খামার মালিক আশরাফ ও আসলাম খান দু’জনেই জানান, যেহেতু খামারের মাঝখান দিয়ে রাস্তাটি ভাঙতেই পারে। কিন্তু আমরা ইতিপূর্বে রাস্তা বাঁধার জন্য বাস খোঠা কিনতেছি বাধবো। বান্দিয়া ৭নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মজিবুর রহমান শাকিল জানান, এ রাস্তাটি আমি ৪০ দিনের কর্মসূচির শ্রমিক দিয়ে ১২ ফিঠ কাজ করিয়েছি। কিন্তু বর্তমান রাস্তাটি দু’ঠ নেই এ ব্যাপারে আমি নিজে খামারের মালিকদেরকে বারবার জানানোর পরও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা খাতুন জানান, এখনো অভিযোগটি দেখি নাই। দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।