জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার চিহ্নিত চক্র অবৈধভাবে ছোট যমুনা নদীর পাড় কেটে বালু নিয়ে যাচ্ছে বলে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী জানিয়েছেন। এতে পাড় ঘেষা আবাদী জমি ও বাড়ি হুমকীর মুখে পড়েছে। উপজেলার আয়মা রসুলপুর ইউনিয়নের পূর্ব খাসবাট্রা গ্রামের পাশদিয়ে ছোট যমুনা নদীরপাড় ভেঁপুদিয়ে অবৈধভাবে কাটছে চক্রটি। নদীর পাড় সহ খাসবাট্রা গ্রামের বাড়ীর পাশে আবাদি জমি প্রায় ১৫-২০ ফিট গভীর ভাবে খনন করে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ভূমি দস্যুরা। কয়েক বছর ধরে এসব ভূমি দস্যুরা প্রকাশ্য ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিয়ে আবাদি জমি খনন করে আসছে। গ্রামবাসী বলেন, বালু উত্তোলনকারীরা এতটাই ভয়ংকর যে, তাদের বিরুদ্ধো কেউ কোন কথা বলার সাহস পায় না। বালু ব্যবসায়ীদের অত্যাচারে এলাকার কৃষকদের চাষাবাদ করা অসম্ভব হয়ে উঠেছে। স্থানীয় খাসবাট্টা গ্রামের ভূক্তভোগী কৃষক পরিবারের সদস্যরা জানান, অবৈধভাবে নদীরপাড় খননের ফলে প্রায় ৫০ একর আবাদি জমি ইতিমধ্যে নদী গর্ভ বিলিন হয়ে গেছে। ভেপু দিয়ে নদীর পাড় ও ফসলী জমি কাটার ফলে পার্শ¦বর্তী ফসলী জমিসহ বসতবাড়ীও এক সময় নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গত ৩০ ডিসেম্বর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও প্রশাসন কোন ধরনের উদ্যোগই নিচ্ছে না বলে জসিম উদ্দিন নামের এক কৃষক জানান। ৯জানুয়ারী দুপুরে সাংবাদিকের একটি টিম ভেঁপুদিয়ে অবৈধভাবে নদীরপাড় খনন কাজের ছবি ক্যামেরা বন্দী করে ফিরার সময় ভূমি দস্যুরা পিছন দিক থেকে দেশীয় অস্ত্র, লাঠি সোঠা নিয়ে ধাওয়া করে ও অকথ্য ভাষায় গালি-গালজ করতে থাকে এবং বলে সব মহলকে ম্যানেজ করে আমরা মাটি কাটছি, তোদের করার কিছুই নেই। পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরমান হোসেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।