জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের মরদেহ ভোরে নারায়ণগঞ্জে সোনারগাঁয়ে তার শ্বশুরবাড়িতে দাফন করা হয়েছে।
আজ ( 12 এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার শম্ভপুর ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে মাজেদের মরদেহ দাফন করা হয়।
সোনারগাঁ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনির হোসেন বাসসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার দীর্ঘ ৪৫ বছর পর কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রোববার প্রথম প্রহরে, অর্থাৎ ১২টা ১ মিনিটে তার মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। জল্লাদ শাজাহানের নেতৃত্বে একদল জল্লাদ ফাঁসি কার্যকর করে বলে জেলার মাহবুবুল ইসলাম বাসসকে জানান।
বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত মাজেদ ২৩ বছর ধরে পলাতক থাকলেও গত ৬ এপ্রিল মধ্য রাতে রাজধানীর মিরপুর থেকে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এরপর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠান। এর পরপরই তার দন্ড কার্যকরের আনুষ্ঠানিকতাগুলো শুরু হয়।
আদালত পরদিন তার মৃত্যু পরোয়ানা জারি করলে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে তা পড়ে শোনায়। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সময় বহু বছর আগেই পেরিয়ে যাওয়ায় আবদুল মাজেদের সামনে সেই সুযোগ ছিল না।
ফাঁসির দড়ি এড়ানোর শেষ চেষ্টা হিসেবে বুধবার সন্ধ্যায় সে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করে। সেদিন রাতেই রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তা নাকচ করে দিলে মাজেদের দন্ড কার্যকরের বিষয়টি কেবল সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
শুক্রবার বিকেলে কেরানীগঞ্জ কারাগারে গিয়ে মাজেদের সঙ্গে শেষ দেখা করে আসে তার স্ত্রী সালেহা বেগম। ফাঁসি কার্যকরের প্রস্তুতি নেয়ার পর লাশ নেয়ার জন্য শনিবার রাতে আবার তাদের কারাগারে ডাকা হয়। দন্ড কার্যকরের পর পরিবারের কাছে এই খুনির মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। -( সূত্র: বাসস) .এইচ আর/ খবরপত্র