কবি গুরুর মতে যে বয়সে কোন বালাই নাই, সে বয়সের ছেলেদের বড় আয়োজন করে হাতে পুরস্কার আর মাথায় পাগড়ি এমন পরিবেশ পুলকিত করে উপস্থিত সকলকে। শুধু তাই নয়, ক্রমান্বয়ে ৪ জন কোরআনে হাফেজের মনমুগ্ধকর তেলাওয়াত মুহিত হয় অনুষ্ঠানস্থল। কোরআনে হাফেজ হওয়ার পর এমন স্বীকৃতি পেয়ে তাঁদের চোখ-মুখ ছিল আনন্দে আত্মহারা। এ দৃষ্টিনন্দন আবহটি তৈরী হয় কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের মোচাগড়ায়। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মরহুম শফিকুল ইসলাম ফিরোজ মাষ্টার ট্রাস্টের সার্বিক তত্বাবধানে জামিয়া ফখরুল উলূম আল-মাদানিয়্যাহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওই আয়োজন করা হয়। মাদরাসার সহকারী অধ্যক্ষ হাফেজ ফখরুদ্দিন রাজীর সঞ্চালনায় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সহকারী অধ্যাপক ডা: কামরুজ্জামান মজুমদার। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন এডভোকেট সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান, সহকারী শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস ও খোরশেদ আলম বাতেন। কোরআন হেফজ করে হাফেজ হওয়া রাকিবুল ইসলাম(১২) বলেন, এক সুন্দর আয়োজন করে মাথায় পাগড়ি আর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার দৃশ্য আমার জীবনের প্রথম আনন্দের উপলক্ষ। সামনে যতদিন বেঁচে থাকব এ সম্মান অক্ষুন্ন রেখে চলার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সচিব সুমন মিয়া, সমাজ সেবক আব্দুল আউয়াল ইস্তার, মাওলানা তৌহিদুল ইসলাম খন্দকার, সহকারী শিক্ষক সফিকুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা সেলিম মুন্সী, ডা: মফিজুল ইসলাম, মসজিদের খতিব খলিলুর রহমান ও মাদরাসার শিক্ষা সচিব মাওলানা এমদাদুল হক প্রমুখ।