সরকার গুম-খুন, শেয়ারবাজার লুট, ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ, পর্দা-বালিশ থেকে শুরু করে প্রতিটি সরকারি কেনাকাটায় সাগরচুরি, নির্মাণকাজে রডের বদলে বাঁশ ব্যবহার, মাদকের বিস্তার, বিরোধী দল দমনে মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অপরিসীম ‘কৃতিত্বের’ বিশ্বরেকর্ড একের পর এক গড়ে চলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। রিজভী বলেন, এই সরকার অত্যন্ত ষড়যন্ত্র অভিলাষী। সরকার আদালতকে ব্যবহার করে নির্দোষ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে সাজা দেয়ায় বিশ্ব রেকর্ড করেছেন। এর শিকার হয়েছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, দেশনায়ক তারেক রহমান ও বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ দেশের লাখ লাখ নেতাকর্মী। সাজানো ঘটনায় মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশব্যাপী একের পর এক বিএনপির নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতারের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়ে কারাগারে ভরে রাখা হচ্ছে। তার সর্বশেষ শিকার হলেন বিএনপির প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ বিএনপির ৫০ জন নেতাকর্মী। তিনি বলেন, ২০০২ সালে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মিথ্যা অভিযোগে হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ সাতক্ষীরার স্থানীয় নেতৃবৃন্দের নামে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দেয়া হয়। অথচ ওই দিন হাবিবুল ইসলাম হাবিব ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। আমি বিএনপির পক্ষ থেকে অবিলম্বে হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ সকল নেতৃবৃন্দের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে মুক্তির জোর দাবি করছি। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আপনারা জানেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরী ষড়যন্ত্রমূলক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় দীর্ঘ পাঁচ বছর কারাগারে বন্দী আছেন।
প্রায় শতাধিক মামলায় জামিন হয়ে জেলখানা থেকে বের হওয়ার সময় শাহবাগ থানায় মিথ্যা মামলায় জামিন হওয়ার পরেও গতকাল বুধবার কোতোয়ালি থানার মামলায় শ্যোন এরেস্ট (তাৎক্ষণিক গ্রেফতার) দেখায়। আমি অবিলম্বে লায়ন আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহারসহ কারামুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বর্তমান মানবতার অস্তিত্ব ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। এই পরিস্থিতি সরকারের অসৎ অনাচারের সারাংশ মাত্র। দেশের মানুষ ভয়-ভীতি-আতঙ্কের এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিন যাপন করছে।