বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০১:২৭ পূর্বাহ্ন

আমরা স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই: মির্জা আব্বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ৭ মার্চ, ২০২১

বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আজকের প্রতিবাদ সভা কিসের জন্য? কারণ আমরা আমাদের কথা বলার অধিকার চাই, স্বাধীনতা চাই, দেশের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনের নিশ্চয়তা চাই, স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই। এতোটুকু কথা বলার জন্য আজকে এখানে এসেছি। গতকাল শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লেখক মুশতাক আহমেদ ও সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যার প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে এদিন সকাল থেকেই প্রেসক্লাবের আশপাশের সকল সড়কের পাশে পুলিশি ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে। বিনা অনুমতিতে কাউকেই ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়া বাস বা অন্যান্য যানবাহন থেকে কোন বিএনপির নেতাকর্মী নামলে তাদের আটকে রাখা হয়েছে। তবে সকাল থেকেই সহস্রাধিক স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মী প্রেসক্লাবের সামনে এসে জড়ো হন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে প্রতিবাদ সমাবেশে নেতাকর্মীর ঢল নামে।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস বলেন, কিসের জন্য কত অত্যাচার, এতো গ্রেপ্তার।
এত ভয় কিসের? কাকে এত ভয়! যাকে ভয় পাবেন তাকে (বেগম খালেদা জিয়া) ইতিমধ্যে গ্রেফতার করে আটকে রেখেছেন। যাকে ভয় পাচ্ছেন সেই তারেক রহমান এখন প্রবাসে আছেন। যাকে ভয় পাচ্ছেন সেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এখন মরহুম। তবুও আপনাদের এত ভয় কেন? তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে দেশের চেহারা এমন হতো না। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার যদি বাইরে থাকতেন তাহলেও দেশের চেহারা এমন থাকতো না। আমাদের বিশ্বাস দেশনায়ক তারেক রহমান যখন দেশে ফিরবেন তখন ও দেশের চেহারা এর চাইতে অনেক ভাল থাকবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, এদেশে গণতন্ত্র ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিল। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেছেন এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সংবাদপত্র ও মানুষের কথা বলার অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দিয়েছে এই বিএনপি। যার ফলে আজকে হাজার হাজার সংবাদপত্র, হাজার হাজার পত্রিকা। তিনি বলেন, আজকে এই সরকারের আমলে শত-শত সাংবাদিক, লেখক ও কলামিস্টদের জেলে যেতে হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বলেন ভালো কথা, ডিজিটাল আইন টা কিসের? ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে’ আমাদের জেলে যেতে হবে। আমরা কোন কথাই বলতে পারব না। এভাবে চলবে না, চলতে পারে না। আপনারা এখানে যারা এসেছেন আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের আরো সাহস সঞ্চয় করতে হবে। এই স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমরা একজন একজন করে লক্ষ কোটি লোক একসঙ্গে হয়ে এই স্বৈরাচারের পতন ঘটানো হবে। এ সময় তিনি বলেন, যুবদল নেতা মজনুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে সহ সমস্ত নেতাকর্মীর আমরা মুক্তি চাই না। আমরা তাদের মুক্ত করে আনবো ইনশাল্লাহ।
প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম সরোয়ার, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, সহ-সভাপতি ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল প্রমুখ।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com