নিষেধাজ্ঞা অমান্যকরে নদীতে মাছধরার অপরাধে লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনাল এলাকার ১শ’ কিলোমিটার পর্যন্ত মেঘনা নদীর ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষিত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১১ জেলেকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড। এসময় জেলেদের ব্যবহৃত ৫ টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও ১৫ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্টজাল জব্দ করা হয়। মঙ্গলবার দিনব্যাপী অপরেশন নিয়ন্ত্রন অভিযান পরিচালনা করেন কোস্টগার্ডের শ্যামলবাংলা দায়িত্বরত অফিসার লে: কর্নেল আখিজুল হক। তিনি জানান, নিষেধাজ্ঞা অমান্যকরে নদীতে মাছধরার অপরাধে মজিদ আলী(২১), রফিক(২৬), রাব্বি(১২), মনির হাওলাদার(৪০), বিল্লাল বেপারী(৩০),আরিফ (১৪), শাকিল(২০), মিরাজ(১২),রাকিব(২১), আব্দুল হক চকিদার(৩০) ও আলামিন(২৭)সহ ১১ জেলেকে আটক করা হয়েছে। এসময় ৫ টি নৌকা ও ১৫ হাজার মিটার কারেন্টজাল জব্ধ করা হয়। পরে আটককৃত কারেন্ট জাল ও পলিথিন পুড়িয়ে ফেলাসহ আটকৃত জেলেদের রায়পুরের দায়িত্বরত হায়দরগঞ্জ কোস্ট গার্ডের নিকট হস্তান্তর করা হয়। পরে ভ্রাম্যামন আদালত ৭ জনের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা ও ৪ জনের বয়স কম হওয়ায় মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন জানান, ৩০এপ্রিল পর্যন্ত ইলিশসহ সকল ধরণের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছে সরকার। ছোট ইলিশ (জাটকা) সংরক্ষন ও মৎস্য সম্পদের উন্নয়নের উন্নয়নের জন্য সরকার এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এ নিষেধাজ্ঞা চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপরের রামগতির শেষ সীমানা প্রায় এক’শ কি.মি. এলাকা বলবৎ করা হয়েছে। চলতি বছর লক্ষ্মীপুরে ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২২ (বিশ) হাজার মে.টন। যার বাজার মূল্য ৫০০টাকা কেজি ধরে এক হাজার এক’শ কোটি টাকা। গত বছর ইলিশ উৎপাদন হয়েছে ২১ হাজার ৩৫ মে.টন। গত বছর ই কার্যক্রম সফল হওয়ার ফলে প্রায় সারাবছরই মেঘনায় ইলিশ পাওয়া যায়। নিষেধাজ্ঞা কার্যক্রম বাস্তবায়নে স্থানীয় জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন, মৎস অফিস, পুলিশ ও কোষ্টগার্ড নিয়োজিত রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে সরকার জেল জরিমানাসহ দুইটি দন্ডে দন্ডিত করার বিধান রেখেছেন। রায়পুর পূর্বজোনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মোঃ মামুনুর রশিদ বলেন, জাটকা রোধে সরকারের কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষে কোস্টগার্ড সদা প্রস্তুত। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যারা মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে যাবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।