গরম মানেই শরীর ঠান্ডা করা তরমুজের সময়। এই সময় তরমুজ খেতে যেমন ভাল লাগে, তেমনই তা শরীরের নানাবিধ উপকার করে। হার্ট, কিডনি সুস্থ রাখতে, হিট স্ট্রোকেরও ঝুঁকি কমাতেও তরমুজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে তরমুজ বেশি খেলে বা ভুল সময় খেলে কিন্তু হিতে বিপরীত ফলও হতে পারে। শরীর ঠান্ডা রাখবে বিষয়টি ভেবে অনেকে রাতের বেলা তরমুজ খায় যা বিপদ ডেকে আনে। চলুন দেখে নেওয়া যাক তরমুজ খাওয়ার উপযুক্ত সময় কখন।
১। তরমুজ সহজে হজম হয় না, বা হজমে সাহায্য করে না। তাই রাতে তরমুজ খেলে ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম হতে পারে বা পর দিন সকালে পেট খারাপ হয়ে যেতে পারে। রাতে যেহেতু আমাদের পরিপাকক্রিয়া ধীর গতিতে হয়, তাই তরমজু না খাওয়াই ভালো।
২। তরমুজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ন্যাচারাল সুগার থাকে। ফলে রাতে তরমুজ খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৩। তরমুজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ পারি থাকার কারণে রাতে বার বার প্রস্রাব পেতে পারে। ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
৪। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে রাতে কোনও ফল খাওয়া ঠিক না।রাতে ফল খেলে ডায়েরিয়া, এমনকী কোনও কোনও ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সকাল বা বিকেলের দিকেই তরমুজ খাওয়ার আদর্শ সময়। সেই সঙ্গেই অতিরিক্ত তরমুজ খাওয়ার আগে কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এর ফলে তরমুজ থেকে শরীর খারাপ হওয়ার ঝুঁকি কমে। পানি থেকে তুলে তরমুজ টাটকা খাওয়াই ভাল। অনেকেই তরমুজ কেটে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা ঠান্ডা খেতে চান। গরমে খেতে ভাল লাগলেও ফ্রিজে রাখা তরমুজ থেকে অ্যাসিডিটি হতে পারে। সূত্র: আনন্দবাজার