করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশব্যাপী চলছে সরকার ঘোষিত লকডাউন। যা কার্যকরে দেয়া হয়েছে ১৮ দফা নির্দেশনা। সে নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠে তৎপর রয়েছে প্রশাসন। তারই ধারাবাহিকতায় রাজধানীতে স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিতে অভিযান চালাচ্ছে ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) দুপুর থেকে শুরু হওয়া অভিযানে নেতৃত্ব দেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিষা রানী কর্মকার।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিরপুরের কাফরুল এলাকা থেকে অভিযান শুরু করেন। মিরপুর ১০ নম্বরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে এদিক-সেদিক সরে পড়েন। অথচ হার্ডওয়ারের দোকান, বইয়ের দোকান, পর্দা বেডশীট এসবের দোকান ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতির আগে খোলা ছিল। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত হাতেনাতে বিরিয়ানি দোকানদারকে, খাবার পার্সেল না দিয়ে বসে খাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ায় জরিমানা করেন। মিরপুর ১০ নম্বরে অভিযান চালিয়ে দেখতে পায় এক পাশের গেট লাগিয়ে লোকজনরা খাচ্ছেন, অন্যপাশে পার্সেল দেয়া হচ্ছে। যার কারণে মুসলিম বিরিয়ানি হাউসকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া মাস্ক ব্যবহার না করায় মিরপুর ১০ নম্বরে একজনকে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং তার মাস্ক কখন পরা ছিল না সে বিষয়ে প্রমাণ চান।
ঢাকা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিষা রানী কর্মকার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিতে আমরা মাঠে রয়েছি। জনগণকে সচেতন করতে কাজ করে যাচ্ছি। অনেকেই এখনও মাস্ক ছাড়া ঘোরাফেরা করছেন। তাদের বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং সচেতনতা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। করোনার সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে সচেতনতা ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। মিরপুর ১০ নম্বর ছাড়াও কাফরুল, ভাষানটেক এলাকায় অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।