শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১১ অপরাহ্ন

পোশাক কারখানা খুলতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি

খবরপত্র অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বুধবার, ২২ এপ্রিল, ২০২০

সীমিত আকারে পোশাক কারখানা খোলার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ)।

সংগঠনের সভাপতি কাজী ইফতেখার হোসাইন মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিবের কাছে এই চিঠি পাঠিয়েছেন।

ইফতেখার হোসাইন জানান, বিজিএমইএর মতোই সীমিত আকারে কিভাবে গার্মেন্টস খোলা যায় সে ব্যাপারে দিক নির্দেশনা জানতে আমরা চিঠি দিয়েছি।

সীমিত আকারে যদি গার্মেন্টস চালু রাখা সম্ভব হয় তাহলেও আমরা প্রতিযোগিতায় কিছুটা টিকে থাকতে পারব। নতুবা দীর্ঘ সময় গার্মেন্টস বন্ধ থাকলে একদিকে দেশি ও বিশ্ববাজারে আমরা প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারব না। অন্যদিকে দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে। সে কারণেই চিঠি দেওয়া।

তবে গার্মেন্টস খোলার সুনির্দিষ্ট কোন তারিখের বিষয়টি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়নি বলেও জানান বিজিবিএ সভাপতি।

চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের প্রধান রফতানি খাতের ব্যবসা ধরে রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিভাবে পোশাক খাতের কর্মকাণ্ড ও সংশ্লিষ্ট যানবাহন সীমিত আকারে চালু করা যায় তার পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত।

সংগঠনটির দাবি, পোশাক খাতের প্রতিযোগী দেশগুলো ধীরে ধীরে ব্যবসা খুলে দিচ্ছে। তা ছাড়া বিশ্বব্যাপী কিছু পোশাকের চাহিদা বাড়ছে।

বর্তমানে উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের পোশাক খাতের যে সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে তা অব্যাহত রাখা না হলে প্রতিযোগী দেশগুলোতে এই ব্যবসা স্থানান্তরের হুমকি রয়েছে।

একবার সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পুনরায় তা প্রতিস্থাপন করা বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।

এদিকে গণভবনে এক ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিধি মেনে কারখানা খোলার বিষয়ে ইঙ্গিত দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘লকডাউন নিশ্চিত করে সীমিত পর্যায়ে হলেও উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হবে। এ জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শর্ত মেনেই কাজ করতে হবে।

এর আগে ব্যাপক সমালোচনার পর করোনা মোকাবিলায় সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী গত ৬ এপ্রিল বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ যৌথ বিবৃতিতে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়। তবে যেসব কারখানার জরুরি রপ্তানি ক্রয়াদেশ রয়েছে ও যারা করোনা মোকাবিলার জন্য সুরক্ষা পোশাক বা পিপিই, মাস্ক ইত্যাদি বানাচ্ছে তারা কারখানা খোলা রাখতে পারে। পরবর্তীতে সরকার ঘোষিত ছুটি বৃদ্ধি করা হলে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ।

এমআইপি/প্রিন্স/খবরপত্র




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com