বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫৩ অপরাহ্ন

হায়দরাবাদকে হারিয়ে মুম্বাইয়ের জয়

স্পোর্টস ডেস্ক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২১

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর কাছে হেরে এবারের আইপিএলে যাত্রা শুরু করেছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। তবে পরের ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে মাত্র ১৫২ রানের সংগ্রহ নিয়ে ১০ রানের দুর্দান্ত এক জয় তুলে নিয়েছিল আইপিএলের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।

এবার মুম্বাইয়ের তৃতীয় ম্যাচে কলকাতার মতোই ভাগ্যবরণ করতে হলো হায়দরাবাদকে। বোলারদের নৈপুণ্যে মুম্বাইকে ১৫০ রানে আটকে ফেলেছিল হায়দরাবাদ। কিন্তু ব্যাটসম্যানরা পারেননি ম্যাচ শেষ করতে। বোলারদের অসাধারণ পারফরম্যান্সে ১৩ রানের জয় পেয়েছে মুম্বাই। শনিবার চেন্নাইর চিপোকে এম চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করা মুম্বাই নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান করতে পারে হায়দ্রাবাদ।
১৫১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দাপুটে করে হায়দ্রাবাদ দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও জনি বেয়ারস্টো মিলে ৭.২ ওভারে ৬৭ রান তুলে ফেলেন। তবে এই জুটির ছন্দপতন ঘটান ক্রুনাল পান্ডিয়া। ২২ বলে ৪৩ রান বেয়ারস্টোকে হিট উইকেটে ফেরান এই স্পিনার। ইংলিশ এই ব্যাটসম্যান নিজের ইনিংসে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কা হাঁকান। দলীয় ৪ রানের ব্যবধানে মনিশ পান্ডের উইকেট হারায় হায়দ্রাবাদ। স্পিনার রাহুল চাহার ফেরান এই ভারতীয় ব্যাটসম্যানকে। আর ধীর ব্যাট করা ওয়ার্নার ইনিংসে ৯০ রানে রান আউট হলে চাপে পড়ে হায়দ্রাবাদ। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ও হায়দ্রাবাদ অধিনায়ক ৩৪ বলে ২টি চার ও সমান ছক্কায় ৩৬ রান করেন।
এরপর মুম্বাই বোলারদের কামব্যাকে নিয়মিত বিরতিতে আরও তিনটি উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে দলটি। শেষদিকে বিজয় শঙ্কর কিছুটা হাল ধরলেও অন্যদের ব্যর্থতায় জয় অধরা রয়ে যায় হায়দ্রাবাদের। মুম্বাই বোলারদের মধ্যে ট্রেন্ট বোল্ট ও রাহুল চাহার ৩টি করে উইকেট তুলে নেন। এছাড়া জসপ্রিত বুমরাহ ও ক্রুনার পান্ডিয়া একটি করে উইকেট ভাগ করে নেন। টস জিতে এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে মুম্বাই। ৬.৩ ওভারে ৫৫ রান তোলেন দলের দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও রোহিত শর্মা। তবে নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি অধিনায়ক রোহিত। ২৫ বলে ২টি চার ও সমান ছক্কায় ব্যক্তিগত ৩২ রানে বিজয় শঙ্করের বলে আউট হন।
এরপর মুম্বাইর ব্যাটসম্যানরা ছোট ছোট জুটি গড়লেও আধিপত্য দেখায় হায়দ্রাবাদের বোলাররা। স্ট্রাইক বোলার ভুবেনেশ্বর কুমার ছাড়া বাকি সবাই কৃপণ বোলিং প্রদর্শন করেন। ডি কক সর্বোচ্চ ৪০ রান করে মুজিব উর রহমানের বলে ফেরেন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকান এই ব্যাটসম্যানকে খেলতে হয়েছে ৩৯টি বল। মেরেছেন ৫টি বাউন্ডারি। শেষদিকে কাইরন পোলার্ড ২২ বলে ঝড়ো ৩৫ রানে অপরাজিত থাকলেও অন্যরা নিজেদের মেলে ধর পারেনি। হায়দ্রাবাদ বোলারদের মধ্যে আফগানিস্তান লেগস্পিনার মুজিব ও বিজয় ২টি করে উইকেট নেন। পেসার খালেদ আহমেদ একটি উইকেট দখল করেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com