গত কয়েকদিন নিত্যপণ্যের দামে কিছুটা সহনশীল থাকলেও রমজান মাসকে সামনে রেখে বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
বাজার ঘুরে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। ক্রেতারা বলছেন, রোজার কারণে অনেক বিক্রেতা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। তবে বিক্রেতাদের দাবি, পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে। এ কারণে তারাও বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন। আর করোনার কারণে সরবরাহে সমস্যা তো রয়েছেই
শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) মোহাম্মাদপুরসহ কয়েকটি কাঁচাবাজার বাজার ঘুরে দেখা যায়, ‘দাম বেড়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, আদা ২৯০ টাকা, রসুন ১২০ থেকে ১৬০ টাকা, তেল ১১০ থেকে ১১৫ টাকা, ছোলা ৮৫ থেকে ১০০ টাকা, বেসন ৮০-১২০ টাকা, চিনি ৭০ টাকা, মসুর ডাল ১৩০-১৪০ টাকা, আটা ৩০ টাকা, ময়দা ৪০ টাকা, মুড়ি ৬৫ টাকা, ডিম ৩০ টাকা, খেজুর মানভেদে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এক সপ্তাহ আগে বাজারে এই ছোলা ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা, মসুরের ডাল দেশি ১১০-১২০ টাকা ও পেঁয়াজ ৫০-৫৫ টাকা, বেসন ৭০-৮০ টাকা।
এদিকে, আগের মতোই ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে চালের দাম। বর্তমান বাজারে প্রতিকেজি মিনিকেট ৬০, পাইজাম ৪৮, নাজিরসাই ৬৫ টাকা, সুগন্ধি চাল ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
তাছাড়া, রমজানকে সামনে রেখে কিছু কিছু সবজির দাম বাড়নো হয়েছে। বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন ও শসা। বর্তমানে সবজি বাজারে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, আলু ২৫-৩০টাকা, শসা ৫০-৬০ টাকা, টমেটো ৫০-৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪৫-৫০ টাকা, করল্লা ৫০-৭০ টাকা ,পটল ৬০-৭০, টাকা, ঢ্যাঁড়স ৪০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া প্রতি পিচ লাউ ৪০-৬০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মাংসের বাজারে দেখা যায়, গত সপ্তাহের মতো স্থিতিশীল রয়েছে মাংসের দাম। বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে তবে রমজানকে সামনে রেখে মুরগির মাংসের দাম কিছুটা বেড়েছে বয়লার মুরগির প্রতি কেজি ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা, কক মুরগি ১৭০ টাকা,পাকিস্তানি মুরগি ২২০টাকা, দেশি মুরগি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে প্রায় সব ধরনের মাছ রয়েছে। মাছের দাম বাড়তি রাখা হচ্ছে এমন অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। বাজারে প্রতি কেজি রুই মাছ ২২০-৩০০ টাকা, পাবদা মাছ ৫০০ টাকা, শিং মাছ ৪০০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ১৮০ টাকা, ছোট মাছ ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
রমজানে ব্যবহার্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাড়তি দামের বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদপুরের মুদি ব্যবসায়ী মানিক খান বলেন, ‘গত সপ্তাহেও পাইকারি পর্যায়ে আমরা অনেক পণ্যের দাম কিছুটা কমে কিনেছি। তবে রমজান আসার আগেই ওই সকল পণ্য আবারো কিনতে গেলে বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। ফলে খুচরা পর্যায়ে আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে’।
এমআইপি/প্রিন্স/খবরপত্র