বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজে মনমাতানো ক্লাস পার্টি অনুষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান অধ্যাপক ইউনূসের রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির দেশমাতৃকার বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী চক্রান্ত থেমে নেই: তারেক রহমান তুর্কি রাষ্ট্রদূতের সাথে জামায়াতের সৌজন্য সাক্ষাৎ চিন্ময় সমর্থক জঙ্গীদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহত অভ্যন্তরীণ বিষয় হস্তক্ষেপ: চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের উদ্যোগ শাপলা চত্বরে গণহত্যায় হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমরা চাই না ছাত্র ভাইদের কঠোর হয়ে দমন করতে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাষ্ট্রদ্রোহের ঘটনায় যুক্ত থাকলে ছাড় দেয়া হবে না : আসিফ মাহমুদ

এতো মৃত্যুর মধ্যেও কুম্ভমেলায় হাজারো মানুষ!

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২১

ভারতে কুম্ভমেলার শেষ শাহী স্নানেও ২৫ হাজার পুণ্যার্থী এবং অন্তত এক হাজার ৩৫০ জন সাধু-সন্তের জমায়েত হয়েছে। মঙ্গলবার মেলা শেষ হওয়ার তিন দিন আগে এই শেষ শাহী স্নান অনুষ্ঠিত হয়। আর তাতে অংশ নিতেই ঢল নামে মানুষের। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। হরিদ্বারের হর কি পৌরি ঘাটের ব্রহ্মকু-ে গঙ্গায় ডুব দেয় পুণ্যার্থীরা। মেলা কর্তৃপক্ষের দাবি, মোট পুণ্যার্থীর এক শতাংশ এদিন শাহী স্নানে অংশ নিয়েছে।
শাহী স্নানের কয়েক ঘণ্টা পর হরিদ্বার জেলা প্রশাসন সন্ধ্যা থেকে করোনা কারফিউ জারি করে। ৩ মে সকাল পর্যন্ত চলবে এই কারফিউ। কয়েকদিন আগে কোভিডের বাড়বাড়ন্তের জেরে তুমুল সমালোচনার ঝড় ওঠে এই কুম্ভমেলা নিয়ে। বিতর্কের জেরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাধু-সন্তদের উদ্দেশে বার্তা দেন, সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে এবার প্রতীকী কুম্ভমেলা উদযাপন করা হোক। সাধু-সন্তদের জুনা আখড়া তা মেনেও নেয়। কিন্তু মঙ্গলবারের চিত্র দেখে তেমনটা মনে হয়নি। কুম্ভমেলার আইজি সঞ্জয় গুঞ্জাল জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর আবেদনের পর এবং মুখ্যমন্ত্রীর বারবার তদারকির পর সাধুদের আখড়াগুলো এদিন ভিড় কম রাখার চেষ্টা করেছিল। গত তিন দিন ধরে আখড়াগুলোর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে জমায়েত নিয়ে। তারা শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখেছিলেন। এমনকি নাগা সন্ন্যাসীরাও মাস্ক পরেছিলেন। কিছু পুলিশ কর্মকর্তাও শাহী স্নানে অংশ নেন। তাদের দাবি, এটা প্রতীকী ছিল। গত ১১ মার্চ প্রথম শাহী স্নানের সময় মেলায় ৩২ লাখ পুণ্যার্থীর ভিড় ছিল। ২৭ মার্চ দ্বিতীয় শাহী স্নানের সময়ও একই সংখ্যক ভিড় ছিল। তৃতীয় শাহী স্নানের সময় ১৪ এপ্রিল সেই ভিড় অর্ধেক হয়ে যায়।

এদিকে বেশি সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট, কম টিকাদান আর বড় জমায়েতের কারণে ভারতের করোনা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার নিয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। মঙ্গলবার সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, এসব কারণের সঙ্গে ভারতের মানুষের অপ্রয়োজনে হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি পরিস্থিতিকে আরও বিপজ্জনক করে তুলেছে। ভারতে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭৯ লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দুই লাখ এক হাজার ১৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। অক্সিজেন সরবরাহ আর শয্যা না থাকায় রোগী ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে দেশটির হাসপাতালগুলো। মরদেহের চাপ বাড়তে থাকায় ভারতের শ্মশানগুলোতে নির্মাণ করা হচ্ছে অতিরিক্ত চিতা। করোনা মোকাবিলায় ভারতকে জরুরি সরঞ্জাম ও ওষুধ সরবরাহ করছে ডব্লিউএইচও। চার হাজার অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ এসব সামগ্রী ভারতে পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মুখপাত্র তারিক জাসারেভিক। ডব্লিউএইচও মুখপাত্র জানান করোনায় আক্রান্ত ১৫ শতাংশেরও কম মানুষের হাসপাতালের সেবার দরকার পড়ে আর তার চেয়েও কম মানুষের দরকার হয় অক্সিজেনের। তিনি বলেন, বর্তমানে সমস্যার বড় একটি কারণ হলো বহু মানুষ অপ্রয়োজনে হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি করছেন, যদিও বাড়িতেই খুব নিরাপদে তাদের সেবা দেওয়া সম্ভব। ডব্লিউএইচও মুখপাত্র বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে পরীক্ষার মাধ্যমে রোগীকে বাড়িতে রেখেই নিরাপদে পরামর্শ দেওয়া সম্ভব। এছাড়া হটলাইন কিংবা ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে এই সংক্রান্ত তথ্য সবাইকে জানানো যেতে পারে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com