শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘তকতে’ এগিয়ে চলেছে ভারতের গুজরাট উপকূলের দিকে। ঝড়ের তাণ্ডবে কর্ণাটক ও কেরালায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখন এটি গুজরাট উপকূলের দিকে এগুচ্ছে। তবে বাংলাদেশে এর কোনও প্রভাব পড়বে না। আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, ঝড়টি হচ্ছে বাংলাদেশের ভারতীয় সীমানার একেবারেই উল্টোদিকে। এর প্রভাব কোনোভাবেই বাংলাদেশের ওপর পড়বে না। তবে আমাদের আবহাওয়া অনুযায়ী দেশের কোথাও কোথাও এমনিতেই ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। সেটি অব্যাহত থাকতে পারে। তাছাড়া যেসব এলাকায় তাপপ্রবাহ বইছে সেখানে তা অব্যাহত থাকতে পারে। ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় তকতে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়ে গুজরাটের পোরবন্দর ও নালিয়ার মধ্যবর্তী কোনও উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। ঝড়ের দাপটে রবিবার বিকাল থেকেই তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে মুম্বাই ও আশপাশের এলাকাগুলোতে। ভারী থেকে খুব ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে পশ্চিম মহারাষ্ট্রসহ পার্বত্য এলাকাগুলোতে। রবি ও সোমবার তুমুল বৃষ্টি হতে পারে মহারাষ্ট্রের কোলহাপুর ও সাতারায়। এছাড়াও তুমুল বৃষ্টি হতে পারে গুজরাটের জুনাগড়, গির সোমনাথ, সৌরাষ্ট্র, কচ্ছ, দিউ, পোরবন্দর, দ্বারকা, আমরেলি, রাজকোট ও জামনগরে।
তবে তবে এসবের কোনও প্রভাব পড়বে না বাংলাদেশে। আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুই এক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এদিকে ঢাকা, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, রাঙামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী রাজশাহী ও পাবনা অঞ্চলসহ খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে নেত্রকোনায় ৫০ মিলিমিটার। এছাড়া নিকলিতে ২৮, কুমিল্লা ও চাঁদপুরে ২২, শ্রীমঙ্গলে ২১, চট্টগ্রাম ও ফরিদপুরে ১৩, মাদারীপুরে ১১, সন্দ্বীপে ৪, টাঙ্গাইলে ৩, ফেনীতে ২, মাইজদীকোর্টে ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এদিকে রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে আজ কোনও বৃষ্টি হয়নি।