জেলায় চলতি মৌসুমে মোট ৬ হাজার ৮শ ৫০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। আবাদকৃত জমি থেকে সর্বমোট ৭৭ হাজার ৩শ ৬৫ বেল পাট উৎপাদিত হবে বলে কৃষি বিভাগ প্রত্যাশা করছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ শামসুল ওয়াদুদ জানিয়েছেন, জেলায় এ বছর দেশী, তোষা এবং মেস্তা জাতের পাট চাষ করেছেন কৃষকরা
সূত্র মধ্যে জেলায় দেশী জাতের ৫শ’ হেক্টর, তোষা জাতের ৫ হাজার ৯শ ৫০ হেক্টর এবং মেস্তা জাতের ৪শ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। উপজেলা ভিত্তিক বিভিন্ন জাতের পাট চাষের পরিমাণ হচ্ছে সদর উপজেলায় দেশী ৬০ হেক্টর, তোষা ৭৪০ হেক্টর ও মেস্তা জাতের ১১০ হেক্টরসহ মোট ৯১০ হেক্টর। রানীনগর উপজেলায় দেশী জাতের ৫ হেক্টর, তোষা জাতের ২০ হেক্টর ও মেস্তা জাতের ১০ হেক্টরসহ মোট ৩৫ হেক্টর। আত্রাই উপজেলায় দেশী ১০ হেক্টর, তোষা ২০৫ হেক্টর ও মেস্তা জাতের ২০ হেক্টরসহ মোট ২৩৫ হেক্টর। বদলগাছি উপজেলায় দেশী ৩০ হেক্টর, তোষা জাতের ১ হাজার ৭শ ৮৫ হেক্টরসহ মোট ১ হাজার ৮শ ১৫ হেক্টর। মহাদেবপুর উপজেলায় দেশী ৪০ হেক্টর, তোষা জাতের ৭০ হেক্টর ও মেস্তা জাতের ৫ হেক্টরসহ মোট ১১৫ হেক্টর। পত্নীতলা উপজেলায় দেশী ১০ হেক্টর, তোষা জাতের ১৬৫ হেক্টর ও মেস্তা জাতের ৫৫ হেক্টরসহ মোট ২৩ হেক্টর। ধামইরহাট উপজেলায় দেশী ৩০০ হেক্টর, তোষা জাতের ১ হাজার ২শ ২০ হেক্টরসহ মোট ১ হাজার ৫শ ২০ হেক্টর। মান্দা উপজেলায় দেশী ৪৫ হেক্টর। তোষা জাতের ১ হাজার ৭শ ৪৫ হেক্টর ও মেস্তা জাতের ২০০ হেক্টরসহ মোট ১ হাজার ৯শ ৯০ হেক্টর। জেলার ১১টি উপজেলার মধ্যে সাপাহার, পোরশা ও নিয়ামতপুর উপজেলায় কোন পাট চাষ হয় নি।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে এখন পর্যন্ত জেলায় পাটের ভালো আবাদ হয়েছে। উৎপাদনও ভালো হবে বলে তাদের প্রত্যাশা।