গবাদি পশু পালন করে দারুণ সফল হয়েছে বকশীগঞ্জ উপজেলার আলীরপাড়া গ্রামের খামারি গাজী মাইদুল হক। মনোয়রা ডেইরি এগ্রো লিমিটেডের মালিক গাজী মাইদুল হকের খামারে বিভিন্ন উন্নতজাতের গবাদি পালন করে ব্যবপক চমক সৃষ্টি করেছেন। উন্নতজাতের গরু, ছাগল, ভেড়াঁ ও হরিণসহ নানা জাতের পশু রয়েছে তার খামারে। চলতি বছরের প্রাণীসম্পদ প্রর্দশনীতেও তার খামার বকশীগঞ্জ উপজেলার সেরা খামারে পরিনত হয়েছে। চার বছর আগে তিনি বকশীগঞ্জ উপজেলার আলীরপাড়া গ্রামে বিশাল এলাকা জুড়ে খামারের কাজ শুরু করেন গাজী মাইদুল হক। শিক্ষানুরাগী ও পশু প্রিয় গাজী মাইদুল হক তার মা মনোয়ারা বেগমের নামে মনোয়ারা এগ্রো লিমিটেড নামে একটি খামার প্রতিষ্ঠা করেন। খামারে উন্নতজাতের গরু, ছাগল, ভেড়াঁ ও হরিণসহ নানা জাতের পশু পালন শুরু করেন। তার পুড়ো খামার এখন দর্শনীয় গরু, ছাগল , মহিস, ভেড়াঁ ও হরিণসহ নানা জাতের পশুতে ভরপুর। ফ্রিজিয়ান জাতের গরু, শাহী ওয়াল জাতের গরু ও ব্রাহামা জাতের গরুসহ নানা উন্নত জাতের গরু রয়েছে। ফ্রিজিয়ান জাতের গরু রয়েছে ২শতাধিক। ফিজিয়ান জাতের প্রতিটি গরুর বর্তমান ওজন ১১০০ কেজি বা ১ টনের উপরে। খামারে রয়েছে টুটাপরী, সিদুপরী, গারোপরী ও যমুনা পরী জাতের নানা উন্নতজাতের ছাগল। বাগানে দর্শণীয় হরিনের ছড়াছড়ি। বিভিন্ন জেলা ও এলাকা খেকে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ তার খামার দর্শণে লোকজনের ভিড় জমে। মনোয়ারা এগ্রো লিমিটেডের কারণেই বকশীগঞ্জের আলীরপাড়া গ্রাম দর্শনীয় গ্রামে পরিনত হয়েছে। গাজী মাইদুল হক জানান, শখের বসবতি হয়ে শিক্ষানুরাগী বাবা গাজী আমানুজ্জামানের অনুপ্রেরণায় খামার করেছি। প্রথমে খামারটি করেছি শখের বসবতি হয়ে। এখন আমার খামারে যে পরিমান বিনিয়োগ করেছি বর্তমান মূল্যে বিক্রয় করলে চার গুন লাভ হবে। আশা করছি কুবানির ঈদে পশু গুলো বিক্রি করে আবার নতুনভাবে খামার সাজানোর উদ্যোগ নিবো। এব্যাপারে বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার বিপ্লব কুমার পাল জানান, মনোয়ারা এগ্রো লিমিটেডেকে প্রয়োজন ও চাহিদা মাফিক সকল প্রকার সহায়তা করা হয়েছে। পরামর্শ মাফিক কাজ করার কারণেই মনোয়ারা এগ্রো লিমিটেড সফল হয়েছে।