বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড নীলফামারী ৫৬ বিজিবির উদ্দোগ্যে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা ও ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ঠেকাতে নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকার প্রতিটি ইউনিয়নের হাট-বাজার থেকে শুরু করে প্রতিটি গ্রামে মাইকযোগে গণসচেতনতার লক্ষ্যে ব্যপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতজুড়ে হু হু করে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। বলা হচ্ছে উচ্চ সংক্রমণের জন্য ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট খুবই ভয়াবহ। তাই সেখানে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। বাংলাদেশকে তিন দিক থেকেই ঘিরে আছে ভারত। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ এড়াতে সীমান্তে কঠোর অবস্থানে রয়েছে ৫৬ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বর্তমানে করোনা সংক্রমণ সন্তোষজনক পর্যায়ে না থাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ৫৬ বিজিবি আগের চেয়ে জনবল বাড়িয়ে সীমান্তে সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে থাকার পাশাপাশি জনসচেতনতামূলক প্রচারনায় নেমেছে। অপরদিকে, সীমান্ত এলাকার প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও এলাকার সচেতন ব্যক্তিদের সহযোগিতা প্রত্যাশায় তাদের সাথে আলোচনা অব্যহত রেখেছে ৫৬ বিজিবি। এ ব্যপারে নীলফামারী ৫৬ বিজিবির অধিনায়ক লে.কর্নেল মামুনুল হক-এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,“এলাকার মানুষ সচেতন না হলে সরকারের পক্ষে একা এই করোনা পরিস্থিতে সামলানো সম্ভব না। এলাকার সকলে যদি এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য এগিয়ে আসে এবং ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে যাতে কোন ব্যক্তি বাংলাদেশে প্রবেশ না করে তাহলে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট থেকে বাংলাদেশ মুক্ত থাকবে। তবে বিজিবির প্রচারের মাধ্যমে সীমান্ত এলাকার মানুষ অনেক সচেতন হচ্ছে। বিশেষ করে সীমান্ত এলাকার প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের ভুমিকা প্রসংশনীয়”।