শাহ আব্দুল হান্নান সাহেবের সঙ্গে আমার প্রথম সাক্ষাৎ ঘটে সেই সময়ে যখন আওয়ামী লীগের শাসন চলছিল এবং শাহ এএমএস কিবরিয়া অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন। যে সময়ের কথা বলছি, সে সময়ে মরহুম আব্দুল হান্নান জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। তার দক্ষতা-সততা এবং গণমুখী চরিত্র তখন কিংবদন্তিতে পরিণত হয়েছিল। ব্যক্তিগত জীবনে জামায়াতে ইসলামীর প্রতি তার দুর্বলতা অথবা জামায়াত সংশ্লিষ্টতা ছিল। কিন্তু এসব নিয়ে তার মধ্যে লুকোচুরিভাব বা হীনম্মন্যতা ছিল না। অন্য দিকে আওয়ামী লীগ সরকার তার ‘জামায়াতি’ পরিচয় সত্ত্বেও তাকে যেভাবে সম্মান ও সমীহ করত মূলত সততা ও নীতিনিষ্ঠার কারণে তা অন্য কোনো সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তার ভাগ্যে জোটেনি।
শাহ আব্দুল হান্নান যে ব্যক্তিত্ব নিয়ে অফিস পরিচালনা করতেন এবং যে সততা নিয়ে উঁচু উঁচু করে চলতেন; যে বিশ্বাস-জ্ঞান-মেধা-আধুনিকতা ও আন্তরিকতা নিয়ে স্পষ্টভাবে কথা বলতেন তার ফলে কোনো দুর্নীতিবাজ, ধান্ধাবাজ-দলবাজ তার সামনে দাঁড়াতে সাহস পেত না। স্বয়ং অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া সাহেবের মতো মেধাবী মানুষকে তিনি কিভাবে ম্যানেজ করতেন সেই দৃশ্যটি আমি নিজে দেখার সুযোগ পেয়েছিলাম তার সঙ্গে সাক্ষাতের প্রথম দিনটিতে। এ বিষয়ে আলোচনার আগে আপনাদের জানাচ্ছি কেন এবং কি কারণে ১৯৯৬-৯৭ সালের দিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান শাহ আব্দুল হান্নানের কাছে গিয়েছিলাম।
আমার ব্যবসায়িক জীবন শুরু হয়েছিল ১৯৯১ সালে। অন্যান্য ব্যবসার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক কনটেইনার পরিবহন বা শিপিং ব্যবসার সুবাদে বন্দর ও কাস্টমস অফিসের সাথে আমাদের যোগাযোগ রক্ষা করতে হতো কিন্তু ব্যবসা পরিচালনার জন্য কোনো সরকারি অফিসে তোয়াজ-তদবিরের দরকার পড়ত না। সেবার হঠাৎ এমন এক আনকোরা সমস্যা দেখা দিলো যার কারণে খুব পেরেশানিতে পড়ে গেলাম। কোরিয়া থেকে আমাদের কনটেইনারে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের স্যাকারিন আমদানি করেন পুরান ঢাকার এক ধান্ধাবাজ ব্যবসায়ী। কনটেইনার চট্টগ্রাম পৌঁছার পর ওই ব্যবসায়ী তার রফতানিকারকের কাছে বিশাল ডিসকাউন্ট দাবি করে বসেন। রফতানিকারক তার মালামাল ফেরত নিতে চাইলেন যা ওই সময়ে সম্ভব ছিল না। কারণ এ ধরনের ক্ষেত্রে যেভাবে মালামাল ফেরত পাঠাতে হয় সেই পদ্ধতির নাম ‘রি-এক্সপোর্ট’। বাংলাদেশ কাস্টমসের প্রচলিত আইন অনুযায়ী রি-এক্সপোর্ট খুবই জটিল একটি প্রক্রিয়া যা অনুসরণ করে এর আগে একটি রি-এক্সপোর্টও তখন পর্যন্ত বাংলাদেশে হয়নি। কাস্টমসের সে আইনের সুযোগ নিয়ে অনেক ধান্ধাবাজ ব্যবসায়ী বিদেশ থেকে মূল্যবান পণ্য আমদানির নামে বিরাট এক প্রতারণার সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিল। তারা আমদানিকৃত পণ্যের জাহাজ বা কনটেইনার চট্টগ্রামে পৌঁছার পর রফতানিকারককে জিম্মি করে ফেলত; মাল খালাস করত না এবং রফতানিকারকে কোনো টাকাও দিত না। কাস্টমসের নিয়ম মতে পণ্যগুলো নির্দিষ্ট সময় পর নিলামে যেত আর সিন্ডিকেটের সদস্যরা নামমাত্র মূল্যে তা কিনে নিতো।
আমি যে চালানটির কথা বলছি, সেটির রফতানিকারক কোরিয়ার ভদ্রলোক সরাসরি বাংলাদেশে চলে এলেন এবং আমাকে বললেন, যত কষ্ট হোক, তিনি দুর্নীতিবাজদের খপ্পরে পড়বেন না। যেকোনো মূল্যে তিনি তার পণ্য কোরিয়ায় ফেরত নেয়ার জন্য আমাকে ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ দিলেন। প্রথামতো সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের মাধ্যমে পণ্যটি পুনঃরফতানিতে ব্যর্থ হয়ে নিজেই নেমে পড়লাম। কাস্টমস, পোর্ট, প্রধান আমদানি-রফতানিকারকের অফিস, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইত্যাদি সব জায়গায় গেলাম এবং ‘হাতির পাঁচ পা’ দেখতে দেখতে কাস্টমস বিভাগে এসে হোঁচট খেলাম। কোনো কর্মকর্তাই আমার সাথে সহযোগিতামূলক আচরণ করলেন না। একজন শুভানুধ্যায়ী বললেন, ‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে আলাদা এসআরও লাগবে, যা কেবলমাত্র চেয়ারম্যান সাহেব দিতে পারেন। তিনি সৎ ও সজ্জন মানুষ। সুতরাং তার সাথে সরাসরি সাক্ষাতে সুফল পাওয়া যেতে পারে।’
আমি কালবিলম্ব না করে শাহ আব্দুল হান্নান সাহেবের রুমে ঢুকতে গিয়ে রীতিমতো তাজ্জব হয়ে গেলাম। গিয়ে দেখলাম, তার রুম খোলা এবং লোকজন অবাধে যাতায়াত করছে। সুতরাং আমিও কারো কোনো অনুমতি ছাড়াই সোজা ঢুকে গেলাম। সেখানে দেখলাম, তিনি দাঁড়িয়ে ১০-১২ জনের কথা শুনছেন এবং ঝড়ের গতিতে একের পর এক সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন। তার টেবিলের সামনে দুটো চেয়ার মুখোমুখি ছিল, যার একটিতে তৎকালীন সময়ের নামকরা মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর বসা ছিলেন। আর অন্যটি খালি ছিল। আমি যেভাবে রুমে ঢুকলাম তা চেয়ারম্যান সাহেবের নজর এড়াল না। তিনি আগে সালাম দিলেন এবং কোনো কিছু জিজ্ঞাসা না করেই জাহাঙ্গীর সাহেবের সামনের চেয়ারে বসতে বললেন। তার সাথে আমার পূর্ব পরিচয় তো দূরের কথা- সামনাসামনি এর আগে সাক্ষাৎও হয়নি। তা ছাড়া তখন আমার বয়স এবং ব্যবসায়িক অবস্থা এমন ছিল না যার কারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান দূরের কথা, একজন কাস্টমস কমিশনারের রুমে সরাসরি ঢুকে এবং তার সামনে বসে প্রয়োজনের কথা বলার মতো আত্মবিশ্বাস দেখাতে পারি। সুতরাং সাহস করে ঢুকলাম বটে; কিন্তু চেয়ারম্যান সাহেবের বিনয় ও ভদ্রতায় হতবাক হয়ে চেয়ারে বসে ঘামতে থাকলাম। আমি দেখলাম, চেয়ারম্যান সাহেব ১০ মিনিটের মধ্যে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আগত লোকদের সমস্যার সমাধান করে নিজের চেয়ারে বসলেন। তারপর আমার দিকে না তাকিয়ে জাহাঙ্গীর সাহেবকে উদ্দেশ করে জানতে চাইলেন- তিনি কী প্রয়োজনে এসেছেন। জাহাঙ্গীর সাহেব বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্য রাজস্ববিষয়ক একটি অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যান সাহেবের সাক্ষাৎকার চাইলেন। উত্তরে শাহ আব্দুল হান্নান বললেন, ‘আপনার প্রস্তাব উত্তম এবং বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু মন্ত্রীর অনুমতি ছাড়া আমি তো কথা বলতে পারব না।’ তিনি সাথে সাথে মন্ত্রীকে ফোন দিলেন। অপরপ্রান্ত থেকে বলা হলো- মন্ত্রী মিটিংয়ে। এখন কথা বলা যাবে না। তিনি বললেন- খুব জরুরি! এখনই বলতে হবে- ফোন দিন। অপর প্রান্তে যিনি ছিলেন, তিনি আর সাহস পেলেন না। মন্ত্রীকে ধরিয়ে দিলেন। শাহ আব্দুল হান্নান এক নিঃশ্বাসে বললেন, স্যার! আসসালামু আলাইকুম। বিটিভি থেকে লোক এসেছে সাক্ষাৎকারের জন্য। বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ এবং আমি মনে করছি এই বিষয়ে আমার কথা বলা উচিত। তাই আপনাকে ফোন দিলাম। আজ সন্ধ্যায় বিটিভিতে যাবো; আমি কিন্তু আপনার অনুমতি নিয়ে নিলাম স্যার। আচ্ছা রাখি- আসসালামু আলাইকুম।’
মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর এবং আমি অবাক হয়ে শাহ আব্দুল হান্নান সাহেবের কর্মকা- দেখলাম এবং আমাদের উভয়কে আশ্চর্য করে দিয়ে জাহাঙ্গীরকে বললেন- ‘ঠিক আছে- আপনি আসুন। সন্ধ্যায় দেখা হবে।’ এরপর আমার দিকে তাকালেন। আমি ইতোমধ্যে তার কর্মকা- বুঝে ফেলেছি। সুতরাং ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে আমার সমস্যাটি বললাম। তিনি আমার দরখাস্তটি নিয়ে নোট লিখলেন। তারপর শাহনাজ হুদা নামে দ্বিতীয় সচিব পদের এক মহিলা কর্মকর্তাকে ফোন করে বললেন- শাহনাজ! একটি দরখাস্ত পাঠালাম। এসআরও হবে। ফাইল করে আমার টেবিলে নিয়ে আসতে কতক্ষণ লাগবে। তারপর বললেন- ওকে, ডু ইট। এরপর আমার দিকে তাকিয়ে বললেন- ‘আমি যত সহজে হুকুম দিলাম, অত সহজে কিন্তু কাজ হবে না। হয়তো আমার রুমে আরো কয়েকবার আসতে হবে। চিন্তা করবেন না। কাজ হবে ইনশা আল্লাহ!’
মানুষের শরীরে বিদ্যুতায়িত হলে যা হয়- আমার অবস্থাও তাই হলো। আমি শাহ আব্দুল হান্নানের রুম থেকে বের হলাম। এরপর আরো কয়েকবার তার রুমে গিয়েছি এবং তার সাথে আমার একটি ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে ওঠে, যা আমি কোনো দিন কাজে লাগাইনি; এমনকি তার সাথে পরবর্তীকালে আর কোনো যোগাযোগ রাখিনি এ কারণে যে, বিনা প্রয়োজনে বড় মানুষের সাথে সম্পর্ক রাখা এক ধরনের অযোগ্যতা এবং যারা এই কাজ করে তারা কেউ হয়তো ধান্ধাবাজির জন্য করে; আবার কেউ কেউ নিজেকে হীনম্মন্য ভাবে- অসহায় ভাবে এবং ক্ষেত্র বিশেষে কারো কারো মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা ও ভিখারীপনার প্রবৃত্তি থাকে যা ঢেকে রাখার জন্য তারা বড় বড় মানুষের সাথে সংযোগ রেখে আত্মরক্ষার চেষ্টা চালায়। এ কারণে শাহ আব্দুল হান্নান সাহেবের স্মৃতি আমার মনে মস্তিষ্কের সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা-আবেগ এবং ভালোবাসার স্থানে সংরক্ষণ করে আমার মতো জীবনযুদ্ধ চালাতে চালাতে ২০১১ সাল অবধি পৌঁছে গেলাম। ঠিক সেই সময়ে হঠাৎ একদিন একটা ফোন ফেলাম। অপরপ্রান্ত থেকে বললেন- ‘আমার নাম শাহ আব্দুল হান্নান। আমি নিয়মিত আপনার লেখা পাঠ করি। পাঠক হিসেবে যদি মাঝে মধ্যে ফোন করি তবে কি আপনি বিরক্ত হবেন?’ সম্মানিত পাঠক! একবার বুঝার চেষ্টা করুন! যে দিন শাহ আব্দুল হান্নান সাহেবের ফোন পেয়েছিলাম সে দিন আমার মনের অবস্থা কিরূপ হয়েছিল। ঘটনার আকস্মিকতায় আমি বিমূঢ় হয়ে পড়লাম। বলতে পারলাম না যে, আপনি এক সময়ে আমায় চিনতেন অথবা আমি সেই লোক যাকে আপনি সে দিন…। ২০১১ থেকে ২০১৩ সাল অবধি তিনি নিয়মিত আমাকে ফোন করতেন এবং আমিও মাঝে মধ্যে ফোন করে নানা বিষয়ে তার সাথে কথা বলতাম যার সাথে রাজনীতি বা অন্য কোনো বিষয়ের সম্পৃক্ততা ছিল না। ইসলামাইজেশন এবং মানবিকতা ও সভ্যতা নিয়ে আমাদের মধ্যে একাডেমিক আলোচনা হতো কিন্তু কোনো দিন সরাসরি সাক্ষাৎ হয়নি। ২০১৩ সালে আমি যখন একটি চাঞ্চল্যকর চক্রান্তের শিকার হয়ে ঊনপঞ্চাশ দিন জেল খেটে বের হলাম, তখন শাহ আব্দুল হান্নান সাহেব ফোন করে জানালেন যে- তিনি আমাকে দেখতে আসতে চান। সে ঘটনার পর তিনি আমার অফিস ও বাসায় একাধিকবার বেড়াতে এসেছেন এবং আমিও তার গোড়ানের বাসায় বেড়াতে গিয়েছি। আমরা যতবার সাক্ষাৎ করেছি ততবারই পরস্পরের প্রতি অধিক মাত্রায় মুগ্ধ হয়েছি। আমাদের সাক্ষাৎগুলোকে সাহিত্যের ভাষায় ‘আড্ডা’ বলা যেতে পারে এবং একেকটি আড্ডায় অসম বয়সের দু’জন মানুষ একান্তে চার-পাঁচ কিংবা ছয়-সাত ঘণ্টা কিভাবে একনাগাড়ে অতিবাহিত করত তা নিয়ে তার সাথে আসা লোকজন অথবা আমার অফিস বা বাসার লোকজন দূরে বসে বড় বড় হাই তুলত এবং ভাবত।
শাহ আব্দুল হান্নানের সাথে আমার উল্লেখিত যোগাযোগ বহাল ছিল ২০১৯ সালের তত দিন পর্যন্ত যত দিন তিনি শারীরিকভাবে একা চলাফেরা করতে পারতেন। পরে তিনি যখন দুর্বল হয়ে পড়লেন এবং অন্যের সাহায্য নিয়ে প্রয়োজনে বাইরে বেরুতেন তখন থেকে আমাদের মধ্যে ফোনেই কথাবার্তা হতো। আমাদের উভয়ের মধ্যে একটি ‘রূহানী সম্পর্ক’ তৈরি হয়ে গিয়েছিল। ফলে আমি যা চিন্তা করতাম অথচ লিখতাম না, সেসব বিষয় তিনি লিখতেন। অন্য দিকে তিনি যেসব বিষয় চিন্তা করতেন অথচ লিখতেন না সেসব বিষয় আমার লেখনিতে প্রকাশ পেত এবং দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকায় আমরা পরস্পরের দর্পণরূপে সপ্তাহের প্রতি শুক্রবারে একজন অন্যজনকে দেখতে পেতাম।
আজ দুই হাজার একুশ সালের জুন মাসের দুই তারিখে বসে যখন নিবন্ধটি লিখছি, তখন শাহ আব্দুল হান্নান সাহেব আর ধরাধামে নেই। মহান আল্লাহ তায়ালা তার প্রিয় বান্দাকে তার আপন আশ্রয়ে নিয়ে গেছেন। দেশের সব পত্রপত্রিকা-সামাজিকমাধ্যমে এবং সুধীজনের আলোচনায় শাহ আব্দুল হান্নানের কর্মময় জীবনের ইতিকথা যেভাবে আলোচিত হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে- মানবের জীবন আসলে শাহ আব্দুল হান্নানের মতোই হওয়া উচিত। তার সম্পর্কে লিখতে গিয়ে আমার কলম বারবার এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। কত স্মৃতি কত কথা- কত স্বপ্ন। কোনটি রেখে কোনটি বলব- এসব ভাবনায় যখন তালগোল পাকিয়ে ফেলছি, তখন লক্ষ্য করলাম- নিবন্ধের প্রান্তে এসে গেছি। এ অবস্থায় তার জন্য দোয়ার পাশাপাশি তার উসিলায় আল্লাহর দরবারে দোয়া প্রার্থনা করে নিবন্ধের ইতি টানছি। মহান আল্লাহ পাকের দরবারে আমার বিনীত প্রার্থনা-
‘হে মহামহিম, তুমি তোমার প্রিয় বান্দা যিনি তার জীবনের শেষক্ষণটি পর্যন্ত তোমার খলিফারূপে এই জমিনে যেভাবে একজন মর্দে মুজাহিদের মতো দায়িত্ব পালন করে গেছেন সেভাবে অনাগত দিনে শত সহস্র শাহ আব্দুল হান্নান যেন বাংলার মাটিতে তোমার হুকুম তামিল করতে পারেন, সেই পরিবেশ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দাও। ইয়া আল্লাহ! তাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করো এবং পবিত্র সেই জান্নাতে আমাকে তার প্রতিবেশী বানিয়ে দিও। তার জীবন ও কর্মকে সদকায়ে জারিয়া হিসাবে কবুল করো এবং তার রেখে যাওয়া আদর্শ অনুসরণ করার হিম্মত আমাদের দান করো। আমিন! ছুম্মা আমিন!
লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য