শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
জব্দ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর রিট আরেক হত্যা মামলায় সাবেক বিচারপতি মানিককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে মানহানির মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান উৎপাদনে ফিরলো কর্ণফুলী পেপার মিল ২০৫০ সালের মধ্যে ৪ কোটি মানুষের মৃত্যু হবে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সংক্রমণে দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন শেখ হাসিনা, দলবল নিয়ে ঘুরছেন পার্কে পিআইবির নতুন ডিজি ফারুক ওয়াসিফ, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি এম আবদুল্লাহ ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পোশাক শিল্প আইন আপনার হাতে তুলে নেয়ার কারো কোনো অধিকার নেই :স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দেয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বললেন মির্জা ফখরুল

শরীয়তপুরে অধিকাংশ বাসের ফিটনেস নেই!

শরীয়তপুর প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন, ২০২১

শরীয়তপুরে অধিকাংশ বাসের ফিটনেস নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। সামন্য বৃষ্টি হলেই ভিজে যায় যাত্রী ও মালামাল। মালিক ও শ্রমিকরা অফিস ম্যানেজ করেই চালাচ্ছেন তাদের ফিটনেস বিহীন ও লক্কর ঝক্কর গাড়ী। এতে করে এক দিকে যেমন বাড়ছে দুর্ঘটনা। অপর দিকে সরকার হারাচ্ছে বিশাল অংকের রাজস্ব। বাস মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ বলছেন অবৈধ সি এন জি অটো রিক্সার কারনে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। বিআরটি এ ও শ্রমিকদের সুত্রে জানাযায, শরীয়তপুর জেলা সদরের সাথে ৬ টি উপজেলায় ১৭২ টি বাস চলাচল করে। এসব বাস গুলোর মধ্যে অধিকাংশ বাসই পুরাতন ও লক্কর ঝক্কর । বিআরটিএ অফিস বলছেন এ জেলার ১৭২ টি বাসের মধ্যে ৩০/৩২টি বাসের কাগজ পত্র আছে। বাকী ১৪০টি বাসের কাগজ পত্র বিভিন্ন জেলা থেকে করার কথা বললে ও বাস্তবচিত্র ভিন্ন। অধিকাংশ বাসই সামান্য বৃষ্টি এলে বাসের ছাদ দিয়ে ভিতরে পানি পড়ে। সামান্য বৃষ্টি হলেই যাত্রীসহ তাদের মালামাল ভিজে যায়। সীটের অবস্থা এতো সরু যে যাত্রীরা তাদের পা সোজা করে বসতে পারে না। অধিকাংশ পুরাতন এ বাস গুলো মাঝে মাঝে রং করলেও অধিকাংশ বাসের দরজা জানালা গুলো ভাংগা। ফলে চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে অধিকাংশ বাস। লক্কর ঝক্কর ভাবে চলছে পুরো জেলায়। এতে করে এক দিকে দুষিত হচ্ছে পরিবেশ, বাড়ছে দুর্ঘটনা। অপরদিকে সরকার হারাচ্ছে মোটা অংকের রাজস্ব। মালিক ও শ্রমিকরা অফিস ম্যানেজ করেই চালাচ্ছেন তাদের ফিটনেস বিহীন এ লক্কর ঝক্কর গাড়ী। কোন যাত্রী বাসে উঠে এর প্রতিবাদ করলে তাকে করা হয় লাঞ্চিত। শরীয়তপুরের সিটিং বাসের এক ড্রাইভার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা বাসের ছাদ দিয়ে পানি পড়ার বিষয়ে বার বার মালিককে গাড়ী মেরামতের কথা বললেও তারা ঠিক করে দেন না। আমাদের কি করার আছে। শরীয়তপুর থেকে মাঝিরঘাট যাওয়ার সিটিং বাস দোলা পরিবহনের যাত্রী আলী ঘরামী ও রিপন মিয়া বলেন, আমরা শরীয়তপুরের কোট এলাকা থেকে গত সোমবার দুপুরে মাঝির ঘাট এর উদ্যেশ্যে রওয়ানা দেই। পথি মধ্যে বৃষ্টি শুরু হলে বাসের ছাদ দিয়ে পানি পড়ে অধিকাংশ যাত্রী ও মালামাল ভিজে যায়। এ অবস্থা শরীয়তপুরের অধিকাংশ বাসের। সিট গুলো চাপাচাপি হওয়ায় স¦াভাবিক ভাবে বসা যায় না। শরীয়তপুর জেলা সিএনজি অটোরিকসা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এডভোকেট আজিজুর রহমান রোকন বলেন, শরীয়তপুর জেলায় চলমান অধিকাংশ গাড়ীই লক্কর ঝক্কর ও ফিটনেস বিহীন। তবে প্রশাসনের অনেককে ম্যানেজ করেই দীর্ঘদিন যাবৎ চলছে এ সকল গাড়ী। ফিটনেস সনদ ও গাড়ীর কাগজ পত্র সম্পর্কে জানতে চাইলে শরীয়তপুর জেলা বাস মালিক সমিতির সহ-সভাপতি ও দোলা পরিবহনের মালিক আব্দুল বারেক মিয়া বলেন, কাগজপত্র না দেরখ বলা যাবেনা। বাসের ছাদ দিয়ে একটু পানি পড়তেই পারে। আমি চালক ও হেলপারকে পুটিন লাগাতে বলেছিলাম। ওরা লাগাতে ভুলে গেছে। শরীয়তপুর জেলা বাস মিনি বাস মালিক সমিতির সভাপতি ফারুক আহাম্মেদ তালুকদার বলেন, বেশী বৃষ্টি হলে কিছু বাসে পানি পড়তে পারে। পদ্মা সেতু হলে ও রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন হলে আমরা মালিকরা নতুন নতুন গাড়ী কিনবো। আর কাগজ পত্রের বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করেননি। শরীয়তপুর বিআরটি এ উপ-পরিচালক জি এম নাজির হোসেন বলেন, শরীয়তপুর জেলায় ১৭২ টি বাস রয়েছে। তার মধ্যে ৩০ টির সনদ পত্র শরীয়তপুর থেকে নেওয়া হয়েছে। আর বাকীগুলো ঢাকাসহ অন্য জেলা থেকে কিনেছে। যেখান থেকে বাস কিনা হয়েছে সেখান থেকে কাগজ করার কথা।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com