মগবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণে পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। গতকাল সোমবার (২৮ জুন) বেলা ১১টার দিকে মগবাজারের ওই ভবন পরিদর্শনের আসেন আইজিপি। পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত এই বিস্ফোরণ নাশকতামূলক কর্মকা- বলে মনে হচ্ছে না। গ্যাস জমে বিস্ফোরণ হতে পারে। ভবনের ভেতরে এখনও মিথেন গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। বোম্ব ও এক্সপ্লোশান ইউনিট নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিস্ফোরণের কারণ তলিয়ে দেখা হবে বলেও জানান আইজপি। গত রোববারের ওই ভয়াবহ বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ ৭ জন মারা গেছে। দগ্ধ হয়ে ১৭ শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
ফায়ার সার্ভিসের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য থেকে জানা যায়, মোট ৬৬ জনের হাসপাতালে ভর্তির তথ্য পাওয়ার গেছে। এর বাইরে অর্ধশতাধিক আহত ব্যক্তি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
তদন্ত কমিটি গঠন করে বিস্ফোরণের কারণ তলিয়ে দেখা হবে: পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, বোম্ব ও এক্সপ্লোশান ইউনিট নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিস্ফোরণের কারণ তলিয়ে দেখা হবে। গতকাল সোমবার (২৮ জুন) বেলা ১১টার দিকে তিনি মগবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণে পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। আইজিপি বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটি জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ হতে পারে। তারপরও পুলিশসহ সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কারণ বের করতে কাজ করছে। আশা করছি বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নে পুলিশ প্রধান বলেন, আপাতত মনে হচ্ছে না এটি কোনো নাশকতা। বিস্ফোরিত ভবনের অবস্থান এবং আশপাশের যে ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে তা থেকে মনে হচ্ছে গ্যাস বিস্ফোরণ এর অন্যতম কারণ। সেক্ষেত্রে ভবনের নিচে থাকা শর্মা হাউজকে বেশি সন্দেহ করা হচ্ছে। এই শর্মা হাউজ থেকে গ্যাসের বিস্ফোরণ ঘটেছে। এর আগে রোববার (২৭ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর মগবাজার সার্কুলার রোডের তিন তলা ভবনে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ভবনটি বিধ্বস্ত হয। বিস্ফোরণে আশপাশের কয়েকটি ভবনসহ ৩টি বাস, বিপরীত পাশের রাস্তায় আরও দুটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনায় ৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।