হাঙ্গেরি আগামী তিন বছরের জন্য বার্ষিক ১৩০ জন বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীকে পূর্ণ বৃত্তি দেবে। এই সুযোগ স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি পর্যায়ে পড়াশোনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এর মধ্যে ১০০টি সাধারণ বৃত্তি এবং ৩০টি নিউক্লিয়ার এনারজেটিকস বিষয়ে পড়াশোনার জন্য দেওয়া হবে। দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) বুদাপেস্টে একটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে। অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, স্লোভেনিয়া ও স্লোভাকিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছেন। হাঙ্গেরির পক্ষে সে দেশের পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কূটনীতিক একাডেমি বিষয়ক স্টেট সেক্রেটারি ডা. ওরসুলইয়া প্যাকসে-টমাসিক সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। এ সময় ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতবাসের মিনিস্টার ও মিশন উপপ্রধান রাহাত বিন জামান এবং বুদাপেস্টে বাংলাদেশ অনারারি কনসাল ড. গ্রেগ পাতাকি উপস্থিত ছিলেন। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আগে দু’দেশের প্রতিনিধিদের বৈঠককালে বাংলাদেশ ও হাঙ্গেরির মধ্যে ক্রমবর্ধমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভবিষ্যৎ রোডম্যাপ নিয়ে কার্যকর আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্পর্কিত চুক্তি স্বাক্ষর, যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন প্রতিষ্ঠা, স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা-বিষয়ক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর, পানি ব্যবস্থাপনা ও কৃষিসহ বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারক, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের যৌথ ঘোষণার ফলোআপ, ২০২১ সালে বুদাপেস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষের যৌথ উদযাপন, বহুপাক্ষিক বিষয়াবলীতে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সমর্থন এবং হাঙ্গেরির কূটনীতিক একাডেমিতে বাংলাদেশি তরুণ কূটনীতিকদের প্রশিক্ষণের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা হয়।