দেশব্যাপী করোনার ভয়ংকর প্রকোপে থমকে গেছে জনজীবন। বন্ধ রয়েছে জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছু। প্রতিদিন সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ভাবিয়ে তুলেছে সংশ্লিষ্ট গবেষকদের। আক্রান্তদের ভারে হাসপাতাল গুলোতে চলছে আহাজারি। ক্লান্ত হয়ে পড়েছে ডাক্তাররা। এদিকে সরকারের সমস্ত বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওতে চলছে জমজমাট পশুর হাট। যেখানে ঈদগাঁও ছাড়াও চকরিয়া এবং রামুর লোকজন ক্রয়-বিক্রয় করতে ভীড় জমাচ্ছে। গরু বাজারে আসা মানুষগুলোর স্বাস্থ্যবিধি কী ধারণা নেই বললেই চলে। সরেজমিন গিয়ে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক পড়ার প্রবণতা মোটেও চোখে পড়েনি। সচেতন মহল ধারণা করছেন করোনা ছড়িয়া দেয়ার জন্যে এরকম একটি পশুর হাটই যথেষ্ট। এদিকে হাজার হাজার মানুষের গণজমায়েতের মাধ্যমে এ পশুর হাট আব্যাহত থাকলেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। এ বিষয়ে বাজার ইজারাদার রমজান আলী বলেন, আমরা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে গরুর বাজার বসিয়েছি। স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ে সকলকে অবহিত করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে গরুর বাজার করার কথা, স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা মিলেছে ভিন্ন চিত্র! কারো কোন তদারকি নেই। ইচ্ছেমতই চলছে গরুর বাজার। ঈদগাঁওবাসীকে করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া দরকার বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনেরা। কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সোহেল জাহান চৌধুরী বলেন, বিত্তশালীরা গরুর বাজারের মতো গণজমায়েত করতে পারলে অন্যান্য ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে গরীবের পেটে লাথি মারার দরকার কী? বিষয়টি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।