দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, দুদকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাবও দেওয়া হবে। গতকাল রোববার তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সার্কুলারটি খতিয়ে দেখবো। তার আওতায় যদি দুদক কর্মকর্তা কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দিতে হয় তাহলে দেব। অন্যথায় আলাদা সার্কুলার করে আমরা সম্পদের হিসাব দেব। সরকারের চাকরি করে সম্পদের হিসাব দেবে না এটা হবে না।’
অন্যদিকে এ বিষয়ে দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মোজাম্মেল হক খান বলেছেন, সম্পদের হিসাব অবশ্যই দিতে হবে। দুদকের জন্য এটা দিতে সুবিধা হবে। কেননা দুদকের কর্মকর্তা-কর্মচারী হলো সাড়ে ১১শ’। আর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী হলো সাড়ে ১১ লাখ। সম্প্রতি আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, সরকারি চাকরিজীবীদের পাঁচ বছর পর পর সম্পদের বিবরণী (হ্রাস-বৃদ্ধি) জমা দেওয়ার নিয়ম মানতে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে চিঠি দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯’ অনুযায়ী পাঁচ বছর পর পর সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদ বিবরণী দাখিল এবং স্থাবর সম্পত্তি অর্জন বা বিক্রির অনুমতি নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ নিয়ম মানছেন না। এ বিষয়ে সরকারেরও কোনো তদারকি নেই। এ প্রেক্ষাপটে বিধিমালাটি কার্যকরের উদ্যোগ নিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।