প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারের মহেশখালীতে পাহাড়ি চড়ার বাধঁ ভেঙ্গে তলিয়ে গেছে ধান চাষের আবাদি জমি, পান বরজ, চিংড়ি প্রকল্প। অপরদিকে পাহাড়ী ঢলের পানির তোড়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের দোকান পাঠ, রাস্তঘাট ও ঘর-বাড়ি তলিয়ে গেছে। এছাড়াও উপজোলার হোয়ানক ইউনিয়নের রাজুয়ার ঘোনা বড় ছড়া পশ্চিমে বাধঁ ভেঙ্গে মাটি সরে গিয়ে বেরিয়ে এলো মেগা প্রকল্প মহেশখালী-আনোয়ারা ৯১ কিঃমিঃ ৪২’ ব্যাসার্ধের এলএনজি গ্যাস সঞ্চলন লাইনের পাইপটি। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ ও অরক্ষিত হয়ে পড়ছে এই গ্যাস পাইপলাইন। জরুরী ভিত্তিতে বাধঁ মেরামত করে গ্যাস পাইপ লাইনটি মাটি চাপা দেয়া না হলে যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা বলে জানিয়েছেন স্থানিয়রা। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রায় সময় মাটি নিচ থেকে সাঁ-সাঁ শব্দ হয়। এতেও জনসাধারণের মাঝে এক ধরণের আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে । জানাগেছে, পাহাড়ি ছড়ার বাঁধ ভেঙ্গে উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের বড়ছড়া এলাকার মাঝের ঘোনা নামক স্থানে এলএনজি পাইপলাইন উপড়ে যাওয়ার এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী এলএনজি পাইপলাইন উপড়ে যাওয়ার বিষয়টি মহেশখালী- সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিককে অবহিত করলে তিনি গত ২৯ জুলাই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় সাংসদ বলেন, এই গ্যাস পাইপ লাইনটি বাংলাদেশ সরকারের একটি জাতীয় সম্পদ। এটি সুরক্ষিত রাখা আমাদের তথা সরকারের কর্তব্য। বিষয়টি জিটিসিএল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে জরুরি ভিত্তিতে বাঁধ মেরামতের ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান। এ ব্যাপারে মহেশখালী-আনোয়ারা এলএনজি গ্যাস পাইপলাইন তদারকির দায়িত্বে থাকা গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল) এর লাইন সুপারভাইজার মোঃ হাসান আলী বলেন, ছড়ার বাধঁ ভেঙ্গে এলএনজির পাইপলাইন ভেসে উঠার বিষয়টি জিটিসিএল প্রতিপক্ষের নজরে এসেছে। সম্প্রতি জিটিসিএল এর একটি দল ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে এটি জরুরী ভিত্তিতে মেরামতের পরিকল্পনা নিচ্ছেন। এলাকাবাসীরা জানান, এলএনজি গ্যাস পাইপলাইন স্থাপন কালে জরিপকারীদের মনগড়া জরিপের কারণে ছড়ার বাঁধের নিচ দিয়ে পাইপ লাইন স্থাপনের কারণে এটি চিরস্থায়ী ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। কেননা পাহাড়ি ঢলে ওই ছড়ার বাঁধ যুগ যুগ ধরে প্রতিবছরই ভাঙ্গনের কবলে পড়ে। জিটিসিএল কর্তৃপক্ষ পাইপলাইন স্থাপন করার পরে খনন করা বাঁধটি পুনরায় টেকসই ভাবে নির্মাণ না করার ফলে বড়ছড়া এলাকার দুটি স্থানে বাঁধ ভেঙে গিয়ে লাইন উপড়ে যায়। এতে মাঝের ঘোনা নামক ধান্য জমি এলাকায় অন্তত ৩ শত একর ফসলি জমিতে বালি জমে আমন বীজতলা ও পান বরজের জমি নষ্ট হয়। ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধটি জরুরী ভিত্তিতে জিও ব্যাগ দিয়ে টেকসই ভাবে মেরামতসহ এলএনজি গ্যাস লাইনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন জিটিসিএল কর্তৃপক্ষের নিকট।