করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারকে টিকা নিয়ে অনুগ্রহ করে জনগণকে ধাপ্পাবাজি দেবেন না বলে অনুরোধ জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, প্রতিদিন আপনারা বক্তৃতা দিতে থাকেন কোনো সপ্তাহে এক কোটি, কোনো সপ্তাহে ৭ কোটি টিকা দেবেন। এ বিষয়ে জনগণের আওয়াজ তোলা দরকার। এই ধাপ্পাবাজি আর কতদিন? গতকাল শনিবার দুপুরে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের বীর উত্তম মেজর হায়দার মিলনায়তনে করোনা ভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এক ওয়েবিনারে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, টিকা নিয়ে অনুগ্রহ করে জনগণকে ধাপ্পাবাজি দেবেন না। এই যে ৩২ লাখ টিকা ৬ দিনে দেবেন তার মানেটা কী? অর্থাৎ একটি ইউনিয়নে ৬৪০ জন পাবে। একটি ইউনিয়নে জনসংখ্যা ৪০ থেকে ৫০ হাজার। যখন প্রতিদিন একটি ইউনিয়নে ১০০ জনকে টিকা দেবেন বাকিদের কী হবে? আপনারা নিজেরাই বলেছেন, দেশে ২৬ কোটি টিকা দরকার। সে জায়গায় প্রতিদিন আপনারা বক্তৃতা দিতে থাকেন কোনো সপ্তাহে এক কোটি, কোনো সপ্তাহে ৭ কোটি। এটা না করে অন্তত কিছু তথ্য দেন। স¤প্রতি বলেছেন সাড়ে ৭ কোটি টিকা চীন থেকে কিনবেন। এজন্য দেড় কোটি টিকা কিনতে অগ্রিম টাকা দিয়েছেন কত করে দিয়েছেন সেটা কী জানার আমাদের অধিকার নেই? তিনি বলেন, মস্কো থেকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রস্তাব দিয়েছিল স্পুটনিক ভি টিকা সাড়ে ৭ ডলার করে দেবে। এখন যতটুকু জানি চীনেরটা কিনছি আমরা ১০ ডলার করে। আজকে তিন মাস হয়েছে সরকার সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি। কম টাকায় বা দাম কম হলে কেন তাদের মন খারাপ হয়। কারণ এখানে লেনদেন কম হবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম আপনি তাদের সঙ্গে বসেন তাহলে দর আরও কমে যাবে। হয় ৭ ডলারেও যেতে পারে। তবে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করতে হবে।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সপ্তাহে মাত্র ৩২ লাখ বাকিদের কী হবে? এখনও আমরা স্কুল, কলেজ, দোকানপাট খুলছি না। এজন্য আমাদের তিনটা জিনিস মানতে হবে, এক নিজের মঙ্গলের জন্য মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। দ্রুত টিকা পাওয়ার নিশ্চয়তা দিতে হবে এবং সব জণগণ, ছাত্র, শ্রমিক, গর্ভবতীকে টিকার আওতায় আনতে হলে আমাদের কোটি কোটি টিকা কিনতে হবে। সেটা আগামী বছর না এখন থেকে সরকারকে বলতে হবে প্রতি সপ্তাহে কোনো দেশে কতো করে টিকা পাঠাবে, তার থেকেও বড় কথা নিজেদের টিকা বানাতে হবে। নিজেদের স্বাবলম্বী হতে হবে অন্যের দয়ার ওপর বেঁচে থাকা যাবে না।