তোরা মোর বিচার করে দেন বাহে” শিরোনামে সংবাদটি গত বুধবার দৈনিখ খবরপত্র” পত্রিকায় প্রকাশ হয়। সংবাদটি নজরে পরে দিনাজপুরের হাকিমপুর (হিলি) থানা অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদের। বুধবার (১১ আগস্ট) সকালে ওসির নির্দেশে থানার অফিসার সহ সঙ্গী ফোর্স সরেজমিনে গিয়ে সেই অসহায় ৯০ বছর বয়সী বৃদ্ধা আমেনা বেগম এবং তার নির্যাতনকারী নাতিকে থানায় হাজির করেন। হাকিমপুর থানা অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, গত বুধবান দুপুরে “তোরা মোর বিচার করে দেন বাহে” সংবাদটি দৈনিক খবরপত্রে দেখতে পাই। সংবাদটি পড়ে তৎক্ষণাৎ উপজেলার আলীহাট ইউনিয়নের কুশাপাড়া গ্রামে বৃদ্ধার বাড়িতে এসআই মাহমুদুন্নবীকে তদন্ত করতে এবং থানায় ঐ নির্যাতনকারী নাতিকে নিয়ে আসার নির্দেশ দেয়। বাড়িতে নাতি না থাকায়, বুধবার সকালে নাতি ও নানীকে পুলিশ থানায় হাজির করেন। যেহেতু দুনিয়াতে তাদের তারা ছাড়া আর কেউ নেই, তাই নাতিকে বিভিন্ন শর্ত দিয়ে বুঝিয়ে অসহায় বৃদ্ধা নানীকে তার হাতে তুলে দেয়। তিনি আরও বলেন, নাতি শাহা আলম প্রতিজ্ঞা করেন যে, সে তার বৃদ্ধা নানীকে আর কোন দিন অত্যাচার করবে না। তার সকল দায়িত্ব ভার নিবে, যতদিন তিনি বেঁচে থাকবেন ততদিন তার সকল সেবা যতœ করবে। নির্যাতনকারী নাতি শাহা আলম বলেন, আমার অনেক বড় ভুল হয়ে গেছে, কোন দিন আমার নানীকে কোন প্রকার অত্যার এবং বাড়ি থেকে বের করে দিবো না। আমি সারাজীবন নানীর সেবা করে যাবো। সুবিচার পেয়ে ৯০ বছর বয়সী আমেনা বেগম বলেন, মুই অনেক খুশি হইছু, পুলিশ সাহেবের আল্লাহ ভাল করবেন। মোর মতো অসহায় মানুষের জন্য পুলিশ কুত্তে (কোথা থেকে) খবর পাইয়ে বাইত্তে (বাড়ি) গেয়ছিলো। আবার বাইত্তে নাতিকে আর মোক থানায় আনলি (আনলো)। মোর নাতি আর ভুল করবে না, সে মোক ভালবাসে। তোমাগের (তোমাদের) আল্লাহ সবার ভাল করবেন।