তালেবান সরকার জনগণের হলে আমাদের দরজা খোলা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে মিলে আফগান জনগণের সাথে কাজ করতে আগ্রহী বাংলাদেশ। বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক বিবৃতিতে এ আগ্রহের কথা জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আফগানিস্তানের পরিবর্তনশীল পরিস্থিতি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ, যা আঞ্চলিক বা তার বাইরেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিবিসি বাংলাকে দেয়া বিবৃতিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার সমৃদ্ধিতে একত্রে কাজ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে নীতি রয়েছে, সেটি বাস্তবায়নে আফগানিস্তানের সাথে কাজ করতে বাংলাদেশে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ মনে করে, দেশটির জনগণের পছন্দ অনুযায়ী একটি গণতান্ত্রিক ও বহুমুখী দেশ হলে তা আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের জন্য সহায়ক হবে। বাংলাদেশ নিজেকে আফগানিস্তানের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন সহযোগী ও বন্ধু বলে মনে করে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, পয়ঃনিষ্কাশন, মানব সম্পদ উন্নয়ন, কৃষি, জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ মোকাবেলা ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশেষজ্ঞ জ্ঞান বিনিময়ের জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে। বাংলাদেশের বেসরকারি সংস্থাগুলো এসব কাজ গত বিশ বছর ধরে দেশটিতে করে আসছে। বাংলাদেশ মনে করে, আফগানিস্তানের পুনর্গঠন এবং কোন দিকে তারা যাবে, তা পুরোপুরি নির্ভর করে দেশের জনগণের ওপর। আফগানিস্তানকে একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ আর দক্ষিণ এশিয়া ও বিশ্বের জন্য অবদান সৃষ্টিকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ দেখতে চায়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে মিলে আফগান জনগণের সাথে কাজ করতে আগ্রহী বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে আফগানিস্তানের সব পক্ষকে শান্তি রক্ষা এবং সব বিদেশি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছে বাংলাদেশ।
তালেবান সরকার জনগণের হলে আমাদের দরজা খোলা: তালেবান সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক হবে কিনা এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘তালেবান সরকার যদি হয় কিংবা হয়েছে এবং সেটা জনগণের সরকার হলে আমাদের দরজা অবশ্যই খোলা থাকবে।’ গতকাল সোমবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর বিসিপিএস মিলনায়তনে সিনোফার্ম টিকার যৌথ উৎপাদনে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা জনতার সরকারে বিশ্বাস করি। জনগণ যাকে পছন্দ করে আমরা সেই সরকারে বিশ্বাস করি। আমরা গণতান্ত্রিক সরকারে বিশ্বাসী। সে দেশের মানুষের ইচ্ছায় তৈরি করা সরকারে বিশ্বাস করি আমরা। তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি সেই সরকারে, যাদের দ্বারা দেশের উন্নয়ন সম্ভব; তাদের সঙ্গেই আমাদের বন্ধুত্ব। আর সেই সরকার আমাদের কাছে সাহায্য চাইলে করবো।