কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে সোনালি আঁশ পাট এবার ভিন্ন সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে কৃষকের মাঝে। তবে শুধু আঁশ নয়, পাটকাঠিও দেখাচ্ছে আশার আলো। পাটকাঠি কখনো রান্নার জ্বালানি, ঘরের বেড়া তৈরিতে ব্যবহৃত হতো। কিন্তু এখন বিশ্ববাজারে পাটকাঠির চাহিদা বেড়েছে। তাইতো কৃষক সোনালি আঁশের রুপালি কাঠিতে আশার আলো দেখছে। বিগত সময় পাট চাষিরা চাহিদা অনুযায়ী পাটের দাম না পেয়ে এই মৌসুমে সোনালি আঁশে ও কাঠিতে তা পুষিয়ে নিতে চেষ্টা করছেন।কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতসহ বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, চাষিরা পাট ঘরে তোলার পাশাপাশি পাটের কাঠি আগের মতো অবহেলায় ফেলে না রেখে যতœ করে শুকিয়ে রাখছেন। ফুলবাড়ী উপজেলার চন্দ্রখানা গ্রামের পাট চাষি আমজাদ হোসেন জানান, গত কয়েক বছর আগেও পাটকাঠির তেমন চাহিদা ছিল না। কিন্তু এখন বেশ চাহিদা। দূর দূরান্তের ব্যবসায়ীরা এসে পাট কাঠি কিনছেন, ভালো দামও দিচ্ছেন। এক শ’ মোটা পাটকাঠি বিক্রয় হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। চাষিরা বলেন, শুধু পাট বিক্রয় করেই নয় এবার পাটের এই কাঠিও আমাদের আশা জাগিয়েছে। চন্দ্রখানা এলাকার পাট চাষি আমজাদ হোসেন সহ বেশ কয়েকজন পাট চাষি জানায়, পাটকাঠি এক সময় রান্নার জ্বালানি, ঘরের বেড়া, ছাউনির কাজে ব্যবহার হতো। কিন্তু এখন এই পাট কাঠি দেশের পার্টিকেল বোর্ড তৈরিতে না-কি ব্যবহার হচ্ছে। শুনলাম পাটকাঠির ছাই বিদেশে রফতানি হচ্ছে। তাই আমরা ভালো দাম পাচ্ছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রশিদ জানান, কৃষি পণ্যকে শিল্পে রূপান্তরের জন্য কৃষি ক্ষেত্রে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। গত কয়েক বারের তুলনায় পাট ও পাটকাঠি বিক্রি করে কৃষক এবার বেশি লাভবান হবেন। এখন দেশের বিভিন্ন এলাকায় পার্টিকেল বোর্ড কারখানায় পাটকাঠি ব্যবহার হচ্ছে।আমাদের উপজেলার কৃষকরা এবার পাট কাঠি দিয়েই অনেক লাভবান হবে।