খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার গুইমারার হাফছড়ি ইউনিয়নে প্রধামন্ত্রীর দেয়া ৪৯ঘর উপহার পেয়ে ভূমিহীন পরিবারগুলো আনন্দিত। উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নের দূর্গম এলাকায় উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির তত্বাবধানে ঘরগুলো অত্যন্ত মানসম্মতভাবে সম্পন্ন হয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের সার্বিক তদারকিতে গুইমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় হাফছড়ি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের দূর্গম এলাকায় হতদরিদ্র দুস্থ প্রতিবন্ধী বিধবা নারীসহ অসহায় মানুষদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর মান সম্মতভাবে নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। উপকারভোগী হাফছড়ি ইউনিয়নের দূর্গম বটতলী পাড়ার মিশুপ্রু মারমা বলেন, এ ঘর পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত। সারাজীবনের চেষ্টায়ও যে মাথা গোজার ঠাঁই করতে পারিনি গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মো: তুষার আহমেদ, উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজ কুমার শীল ও হাফছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান চাইথোয়াই চৌধুরীর সহযোগিতায় একটি ঘর উপহার পেয়েছি। এ বসত ঘর পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। হাফছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান চাইথোয়াই চৌধুরী বলেন, সামনে আমার নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য কিছু লোক আমার পিছনে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আমি জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আমাকে রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমার বিরুদ্ধে কিছু স্বার্থন্বেষী মহল এসব অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। হাফছড়ি ইউনিয়নে ৪৯টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয় তার মধ্যে ২৭টি ঘরের চাবি গৃহহীনদের মাঝে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। বাকি ২২টি ঘরের কাজ চলমান খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘর গুলো গৃহহীনদের মাঝে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের এসব ঘরগুলো পরিদর্শন করেছেন, গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার। গুইমারা উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজ কুমার শীল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলি সচ্ছভাবে করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে তদারকি কর্মকর্তা নিয়োগ করেছেন। তদারকি কর্মকর্তারা যাচাই বাচাই করেছেন। গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আরো ঘর বরাদ্দের প্রক্রিয়া চলমান, তাই আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।