কুমিল্লার দেবিদ্বার থানার কাবিলপুর গ্রামের ডাকাতির ঘটনার ১১দিনের মধ্যে ডাকাতদের লুন্ঠিত ১০ ভরি ২ আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার সহ ৭ ডাকাতকে গ্রেফতার পূর্বক রহস্য উদঘাটনের জন্য স্বীকৃতি স্বরূপ সম্মাননা ক্রেষ্ট, নগদ অর্থ ও প্রশংসা পত্র পেলেন দেবিদ্বার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ছমিউদ্দিন। গত মঙ্গল বার জেলা পুলিশের জুলাই মাসের মাসিক অপরাধ সভায় জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ পিপিএম (বার) তাকে এই সম্মাননা ক্রেষ্ট, নগদ অর্থ ও প্রশংসা পত্র প্রদান করেন। জানা যায়, গত ২ জুলাই রাত অনুমানিক ৩টার দিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ রেজাউল করিমের দেবিদ্বার থানাধীন কাবিলপুর সহ (কুরচাপ) গ্রামের বাড়িতে একটি র্দুর্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা ডাঃ রেজাউল করিমের মা রহিমা খাতুন(৭৫) এর গলায় রাম দা ধরে ও মারধর করে বেডরুমের ওয়ার ড্রাপ ও ষ্টীলের আলমারী থেকে বিপুল পরিমান স্বর্ণালংকার, একটি মোবাইল ফোন ও কিছু নগদ টাকা নিয়ে যায়। পরে এই বিষয়ে ডাঃ রেজাউল করিম বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় একটি ডাকাতির মামলা রুজু করলে দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুর রহমান এর নির্দেশে মামলাটির তদন্ত শুরু করেন দেবিদ্বার থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ ছমিউদ্দিন। তার নেতৃত্বে মামলার তদন্ত কাজে সহায়ক ছিলেন এস আই আলমগীর, এস আই সোহরাব, এসআই মাহবুব, কম্পিউটার অপারেটর-কনষ্টেবল তানভীর, রবিউল্লাহ। ওই ক্লুলেস মামলাটি রুজু করার পর প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে ০২ দিনের মধ্যে দেবিদ্বার থানাধীন এলাহাবাদ (উটখারা) গ্রামের কুখ্যাত ডাকাত রফিককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় থানা পুলিশ। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পরদিন দেবিদ্বার ও বুড়িচং থানা পুলিশের সাথে যৌথ অভিযানে বুড়িচং থানার ইন্দ্রাবতী গ্রামের কুখ্যাত ডাকাত সোহেলকেও গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রযুক্তি বিশ্লেষণ করে আসামীদের ডাকাতের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমৃলক জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়। এরই মধ্যে উক্ত ডাকাতির ঘটনার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ডাকাত আবুল ও ডাকাত রুহুল আমিন কে চান্দিনা থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। সর্বশেষ দেবিদ্বার থানাধীন ছোটনা গ্রামের ডাকাত আনোয়ারকে গ্রেফতারের পর তার দেওয়া তথ্য মতে বুড়িচং থানার কালাকচুয়া বাজারে দেবিদ্বার ও দেবপুর ফাঁড়ি পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ক্লুলেস ডাকাতির ঘটনার মুল পৃষ্টপোষক স্বর্ণ ব্যবসায়ী রিপন চন্দ্র সাহাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরে তার বসত ঘরে অভিযান পরিচালনা করে ডাকাত দলের লুন্ঠিত ১০ ভরি ২আনা স্বর্ণের পুরাটাই (গলিয়ে ফেলার পর ৮ ভরি ৭ আনা, যার মূল্য ০৫ লাখ ৩০ হাজার) উদ্ধার করা হয়। এই ডাকাতির ঘটনার ১১দিনের মধ্যে কুমিল্লা জেলার র্দুর্ধষ ৫ ডাকাত, ডাকাতির স্বর্ণালংকার চোরাকারবারী ও অর্থায়ন কারীসহ জড়িত ৭ জনকে গ্রেফতার, লুন্ঠিত ১০ ভরি ২ আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার ও জড়িত ৩ জন আসামীর ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী রেকর্ড করতে সক্ষম হয়। দেবিদ্বার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ ছমিউদ্দিন জানান, দেবিদ্বার সার্কেল এর সিনিয়র এএসপি আমিরুল্লাহ, দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুর রহমান সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে তিনি বলেন স্যারদের পরমর্শ ও টিম দেবিদ্বারের সহযোগিতায় ভালো কিছু করতে পেরে আমি পুরস্কার পেয়েছি। এতে আমার কাজের মনোবল আরো শক্তিশালী হয়েছে। তবে দেবিদ্বার থানার অপরাধ নিমূলে সকলের সহযোগীতা কামনা করছি এবং এই ধারা অব্যাহত থাকবে। দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আরিফুর রহমান জানান, দেবিদ্বার সার্কেল এর সিনিয়র এএসপি আমিরুল্লাহর নেতৃত্বে দেবিদ্বার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ছমিউদ্দিন ও সঙ্গিও পুলিশ ফোর্সের সহযোগীতায় ডাকাতির ঘটনার ১১দিনের মধ্যে ৭ ডাকাত, গ্রেফতার করে স্বর্ণালংকার উদ্ধার করতে সক্ষম হওয়ায় জেলা পুলিশের জুলাই এর মাসিক অপরাধ সভায় জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ পিপিএম (বার) তাকে এই সম্মাননা ক্রেষ্ট, নগদ অর্থ ও প্রশংসা পত্র প্রদান করেন।